টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে কলেজ ছাত্রী হামিদা আক্তার পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়িতেই গরুর খামার গড়ে তুলেছেন। এবছর ঈদ সামনে রেখে দুটি ষাঁড় প্রস্তুত করেছেন তিনি। ভালোবেসে এদের নাম দিয়েছেন ‘মানিক’ ও ‘রতন’। হলিস্টিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় দুটি প্রায় একই বয়সের। এর মধ্যে ৩৮ মণ ওজনের মানিকের দাম চাওয়া হচ্ছে ১৫ লাখ আর ৩৭ মণের রতনের দাম ১৩ লাখ টাকা।
করটিয়া সরকারি সা’দত কলেজে পড়াশুনা করছেন হামিদা। তিনি জানান, অনেক আগে থেকেই তাদের বাড়িতে গরু পালন করা হয়। ৪ বছর আগে নিজেদের দুটি গাভীর থেকে কয়েক মাসের ব্যবধানে মানিক ও রতনের জন্ম হয়। এরপর থেকে নিজ হাতেই ষাঁড় দুটিকে লালন পালন করেছেন হামিদা। হামিদা জানান, এই ৪ বছরে মানিক–রতন তাদের পরিবারের সদস্য হয়ে উঠেছে।
হামিদা বলেন, ষাঁড় দুটোর জন্মের পর থেকেই কোনো ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করা হয়নি। ভুট্টা, ছোলা, চিড়া, কলা, মিষ্টি আলু, খইল ও নিজেদের চাষ করা ঘাস খাইয়ে বড় করেছে ওদের।
চলমান কঠোর বিধিনিষেধের জন্য বাড়ি থেকেই ষাঁড় দুটি বিক্রির ইচ্ছা হামিদার। তবে বাড়ি থেকে বিক্রি করা না গেলে ঢাকার গাবতলী পশুর হাটে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। গতকাল রবিবার হামিদাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকার পাইকার ও এলাকার উৎসুক মানুষ ভিড় জমাচ্ছে।
পড়াশোনা শেষ করবার পর একজন সফল খামারি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় হামিদা। ষাঁড় দুটি ভালো দামে বিক্রি করতে পারলে আগামী বছর আরও বৃহৎ পরিসরে খামার গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে তার।
হামিদার বাবা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবদুল হামিদ বলেন, গরু দুটিকে খুব আদর-যত্ন করে হামিদা লালন-পালন করেছে। ভালো দামে গরুগুলো বিক্রি হলে মেয়ের খামার গড়ে তোলার স্বপ্ন পূরণ হবে।