কিছুটা স্বস্তি ইলিশের বাজারে

0

আগস্ট এর শুরুর দিকে ছোট আকারের ইলিশ মাছের কেজি ছিল ৯০০ টাকা। এসব ইলিশের এক-একটির ওজন ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম। এখন একই টাকায় মিলছে দেড় কেজি ইলিশ মাছ! তবে মাছের আকার ও ওজন বাড়লে ইলিশের দামও বাড়ে। বড় আকারের ইলিশের দামে খুব বেশি পার্থক্য হয়নি। গত মাসের তুলনায় দাম কমেছে এক শ থেকে দেড় শ টাকা।
ইলিশের বাজার

পলাশী কাঁচাবাজারে মাছ বিক্রি করেন মো. হৃদয় ঢালী। এক ক্রেতাকে লোভ দেখিয়ে বললেন, ‘একটার দামে দুইটা ইলিশ লইয়া যান।’ কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞেস করতেই বললেন, একটি বড় ইলিশ মাছের দামে দুটি ছোট আকারের ইলিশ বিক্রি করছেন তিনি। ৬৫০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ মাছ ৩৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। আর ৯৫০ গ্রামের একটি ইলিশ মাছের দাম চাইছেন ৯০০ টাকা।

কেমন বিক্রি হচ্ছে, জানতে চাইলে কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে হৃদয় ঢালী বলেন, ‘পত্রপত্রিকায় লেখা হয় মাছের দাম কম। কিন্তু যারা মাছ ধরে, তারা ক্যামেরার সামনে এক কথা কয়, আর আমগরে কয় আরেক। আমাগো বেশি দামেই কিনতে হয়। কিন্তু বাজারে যারা কিনতে আসে তারা কয়, দাম তো কম! এহন আমগোরেও কম দামে বেচতে হয়। ঈদের পরে তো কাস্টমারও নাই।

আজিমপুরের বাসিন্দা মার্জিয়া আক্তার বলেন, ‘ঈদের কয়দিন কোরবানির গোশতই খাওয়া হয়েছে। এখন স্বাদ পরিবর্তন করতে মাছ কিনতে আসলাম। ইলিশ কিনব ভাবছি, দাম তো একটু কম।

পলাশী কাঁচাবাজারে খুব বেশি মাছের দোকান খোলা ছিল না। সেখানে রুই বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৫০ টাকায়। মলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি দরে। ছোট আকারের কুচো চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩৫০ টাকায়। মাছ বিক্রেতা শোয়েব খান মানিকগঞ্জ থেকে মাছ কিনে আনেন। জানালেন, গত মাসের তুলনায় দামের কম-বেশি হয়নি। একই রকম আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে