কিশোরী ধর্ষণের পর সাত লক্ষ টাকায় দফারফার ব্যর্থ চেষ্টা

0
কিশোরী ধর্ষণের পর সাত লক্ষ টাকায় দফারফার ব্যার্থ চেষ্টা

বাড়িতে একা পেয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে এক ব্যবসায়ী। ধর্ষণের পর সাত লাখ টাকায় রফাদফার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সুমন পাল (৩৫) নামে এক কয়লা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে প্রশাসন।

রবিবার রাতে তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন সুনামগঞ্জ পৌর শহর থেকে গ্রেফতারের পর শনিবার সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতার সুমন পাল উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের তেলীগাঁও গ্রামের প্রয়াত ঝুনু পালের ছেলে।

গত ১৩ আগস্ট ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পরই আসামির পরিবারের লোকজন সাত লাখ টাকায় মামলা রফাদফার চেষ্টা করে। তবে তারপরও তা ভেস্তে যায় বলে জানায় ভিকটিমের পরিবার।

মামলার সূত্রে পাওয়া যায়, গত ১ জুন উপজেলার তেলীগাঁও গ্রামের সুমন পাল একই গ্রামের দরিদ্র সবজি বিক্রেতার ঘরে প্রবেশ করে। তখন সবজি বিক্রেতার স্ত্রী ঝি এর কাজ করতে অন্যের বাড়িতে ছিলেন। এসময় ফাঁকা বাড়িতে ওই দম্পতির ১৭ বছর বয়সী কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন সুমন।

অতঃপর পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করা সহ লোক সমাজে ফাঁসিয়ে দেবার কথা বলে মুখ না খুলতে ভয়-ভীতি দেখিয়ে বারবার ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে সুমন।

তারপর ওই কিশোরী তার বাবা ও মাকে জানায়। এরপর বিষয়টি গ্রাম্য সালিশে সবার সামনে জানাজানি হয়। পরে ওই কিশোরীর অন্যত্র বিবাহের কথা নির্ধারিত থাকলেও সেই বিয়ে ভেঙে যায়।

পরবর্তীতে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্যের মাধ্যমে সাত লাখ টাকায় ব্যাপারটা রফাদফার মাধ্যমে গোটা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে কয়লা ব্যবসায়ী সুমন পাল এবং তার সহোদর মহান্ত পাল। এবার সেই চেষ্টাও ভেস্তে যায়।

সম্প্রতি সরকারি একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাসেবা নিতে গেলে ওই কিশোরী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন চিকিৎসক।

রবিবার রাতে গ্রেফতার সুমন পালের বড় ভাই কয়লা ব্যবসায়ী মহান্ত পাল বলেন, বিষয়টি সামাজিকভাবে ৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণে নিষ্পত্তির চেষ্টা করেছিলাম তা যখন হয়ে উঠেনি তখন আইনিভাবেই বিষয়টি মোকাবিলা করব।