ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্র আদৌ কি পারবে নিজেকে শেষ রক্ষা করতে?

0

বর্তমান সময়ে উত্তর কোরিয়ার পরীক্ষিত ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর ক্ষমতা যেমন ই হোক না কেন,এটা স্পষ্ট যে পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম ক্ষেপনাস্ত্র তৈরির লক্ষ্য থেকে খুব বেশি দূরে নেই আর তারা।
ক্ষেপণাস্ত্র

আর সেই ক্ষেপণাস্ত্র যে আমেরিকার জন্য রীতিমত বিপদ সংকেত এটা আমেরিকা কেন গোটা পৃথিবীর ই জানা হয়ে গেছে এত দিনে।
পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষমতা অর্জন পিয়ংইয়ং এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটা করার জন্য পারমাণবিক অস্ত্রের আকার প্রথমে ছোট করতে হবে তাছাড়া ও এটির সুরক্ষা ও নিশ্চিত করতে হবে।

পিয়ংইয়ং পারমাণবিক কর্মসূচিতে বিষয়টি কিভাবে দেখা হচ্ছে তা কারোই জানা নেই এখন পর্যন্ত। তবে এটা স্পষ্ট যে উত্তর কোরিয়া চাইলে এই ক্ষমতা অর্জন করতে পারে খুব কম সময়েই আর সময়টা এতই কম যে ধারণা করা হয় যে তারা চাইলে ট্রাম্পের সময়সসীমাতে ই তা সম্ভব।
যদিও দেশটি এখন ই দাবী করছে আমেরিকার যেকোনো স্থানে আঘাত হানার সক্ষমতা তারা ইতিমধ্যেই অর্জন করেছে।

তবে এখন প্রশ্ন দাঁড়াচ্ছে আমেরিকা কি উত্তর কোরিয়ার হামলা মোকাবেলা আদৌ করতে পারবে ত?
যদিও দেশটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষায় বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছে। বিশ্বব্যাপী স্যাটেলাইট সেন্সর নেটওয়ার্ক রয়েছে এবং এর মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র গতিপথ ও পর্যবেক্ষণ ও চিহ্নিত করার সুযোগ আছে দেশটির জন্য।

ক্ষেপণাস্ত্র
আর ক্ষেপনাস্ত্র ধ্বংস করার পাল্টা ব্যবস্থা ত আছেই…
তারপর ও বিশ্বনেতারা অনেকেই বিশ্বাস করতে বাধ্য যে এই ব্যবস্থায় এখনো অনেক ঘটতি রয়ে গিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন এখন পুরো বিষয়টি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখছে।আবার নতুন প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কথা ও শোনা যাচ্ছে আজকাল। কিন্তু নিকট ভবিষ্যতে উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবেলা জন্য দেশটির হাতে ব্যবস্থা আছে তা যে যথেষ্ট নয় সমালোচকদের তাই ধারণা।

আমেরিকার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধক ব্যবস্থার স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান । তবে তখনকার সময়ে এ ধরনের ব্যবস্থা ছিল ব্যয়বহুল এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও ঘাটতি ছিল।

পরে কয়েক দশকে প্রযুক্তির নাটকীয় উন্নতি হয়েছে যাতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও রাডার সিস্টেম দারুণভাবে সফল ও পরীক্ষিত।

অন্যদিকে সমালোচকদের মতে যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এখনো যথাযথ পর্যায়ে পৌঁছেনি, এমনকি পরীক্ষাগুলোতেও মিশ্র ফল পাওয়া গেছে। সমালোচনা রয়েছে যে এমনকি যুক্তরাষ্ট্র একটি পরিপূর্ণ পরীক্ষাও চালায়নি তার প্রতিরোধ সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য।
সামরিক কমান্ডাররাও স্বীকার করেন যে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোটা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধক হয়ে উঠেনি।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন উত্তর কোরিয়া ও এর ক্রম বিকাশমান ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বিষয়ে যাই ভাবুন, সময় আসলে বয়ে যাচ্ছে দ্রুত।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে