স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, “টিকায় নির্ভরশীল হওয়ার জন্য দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনে আমরা খুব আগ্রহী। এ বিষয়ে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করা হচ্ছে। বাংলাদেশের টিকা উৎপাদন কারখানাটি হবে গোপালগঞ্জে।”
শনিবার (২৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মানিকগঞ্জের গড়পাড়া গ্রামে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এ কথা জানান।
জাহিদ মালেক বলেন, কয়েকদিন যাবৎ দেশে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। গতকালও ১০৮ জন মৃত্যুবরণের পাশাপাশি সংক্রমণের হার প্রায় ২২ শতাংশের কাছাকাছি। প্রায় প্রত্যেকটি জেলায় করোনা সংক্রমণের হার প্রচুর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি যোগ করেন, দেশের সংক্রমণের হার প্রায় ২২ শতাংশ হলেও মানুষ লকডাউন মানতে চায় না। নিয়মিতভাবে মাস্ক পরা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে না। এ ধরণের অবস্থা থেকে সবাইকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে।
তিনি জানান, দেশে দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য দেশেও লকডাউন দেওয়ার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে লকডাউনে অর্থনীতিসহ বিভিন্নভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হলেও অধিকাংশ মানুষকে টিকার আওতায় না আনা পর্যন্ত এর বিকল্প আমরা দেখছি না।
মন্ত্রী আরো জানান, দ্রুত চীন থেকে টিকা আসছে। গোপনীয়তার কারণে কখন এবং পরিমাণ জানাননি তিনি। রাশিয়ার সঙ্গেও ভ্যাকসিন বিষয়ে কথা হচ্ছে বলে তিনি জানান। তবে রাশিয়ার উৎপাদন ক্ষমতা বেশি নয় বিধায় পরিমাণটা খুব বেশি হবে না বলে সাংবাদিকদের উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
