চট্টগ্রামে ১০ দফা দাবি আদায়ে পরিবহন সমিতির আন্দোলন

0
চট্টগ্রামে ১০ দফা দাবি আদায়ে পরিবহন সমিতির আন্দোলন

সড়কে পুলিশের হয়রানি বন্ধ, ট্রাকচালক লিটন হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা, ডাকাতি-ছিনতাই বন্ধসহ ১০ দফা দাবিতে শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান, ট্যাংক-লরী ও প্রাইমমুভার মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ।

এ সময় পরিবহন নেতারা সাংবাদিকদের বলেন, সড়কে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে তারা পুলিশের চাঁদাবাজির শিকার হন। চট্টগ্রাম নগরে এক টিআইকে (পুলিশ পরিদর্শক) টাকা না দিলে টিআই গাড়ি প্রবেশ করতে দেন না। মাসিক হিসেবে টাকা না দিলে তিনি শ্রমিকের গায়ে হাত তোলা, গাড়ি জব্দ করাসহ নানাভাবে হয়রানি করেন। টিআই এর বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে সরকারের ওপর মহলে অভিযোগ করা হয়েছে।

১০ দফার দাবিগুলো হলো-সহজ শর্তে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান; পণ্য পরিবহনের সময় মালামাল চুরি-ডাকাতি-ছিনতাইরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ; বর্ধিত আয়কর প্রত্যাহার করে করোনার সময়ে আগের ন্যায় জরিমানা ছাড়া গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ করার সুযোগ দেওয়া; সড়ক-মহাসড়কে কাগজপত্র চেকিংয়ের নামে পুলিশি হয়রানি-চাঁদাবাজি-মাসিক মাসোহারা বন্ধ করা; টার্মিনাল বাদে সারাদেশের সিটি করপোরেশন-পৌরসভার সড়কে অবৈধ চাঁদা বন্ধ করা; এবং দেশের সড়ক-মহাসড়কগুলোতে শুধু হাইওয়ে পুলিশের অধীনে নির্দিষ্ট স্থানে কাগজপত্র চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা।

জানা যায়, ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে পণ্য পরিবহনে ৪৮ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালনসহ আন্দোলন অব্যাহত রাখার হুমকি দিয়েছেন শ্রমিকরা।

সংগঠনের বৃহত্তর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির আহ্বায়ক মো. নুরুল আবছারের সভাপতিত্বে ও সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির দফতর সম্পাদক মো. আব্দুর রহিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. রুস্তম আলী খান। এছাড়াও প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন পূর্বাঞ্চল কমিটির সভাপতি মৃনাল চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. আব্দুল মান্নান।