র্যাব ৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুবুল আলম জানান, বুধবার ভোর থেকে বিপুলসংখ্যক র্যাব সদস্য এ অভিযান শুরু করেন। এর আগের দিন মঙ্গলবার ভোরে এ চরের রাশিকুলের বাড়িতে জঙ্গিদের সঙ্গে র্যাবের গোলাগুলির সময় বিস্ফোরণ ঘটে। পুরো বাড়ি আগুনে পুড়ে যায়। সেখান থেকে তিনজনের খণ্ডবিখণ্ড লাশ উদ্ধার করে র্যাব। উদ্ধার করে অস্ত্রশস্ত্র।
র্যাব কর্মকর্তা মাহাবুবুল বলেন, এই চরে কয়েক হাজার বসতি রয়েছে। কারা বসতি গড়েছে বা বহিরাগত কেউ এখানে অবস্থান করছে কিনা অথবা কোথাও গোলাবারুদ মজুদ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে এ অভিযান শুরু করা হয়েছে। একই সঙ্গে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে চরবাসীকে সচেতন করা হচ্ছে এ অভিযানের মাধ্যমে। র্যাব কর্মকর্তা মাহাবুবুল বলেন, নিহত ওই তিন জঙ্গি জেএমবি সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ওই বাড়ির মালিক রাশিকুলের স্ত্রী নাজমা বেগম, নাজমার বাবা খোরশেদ আলম ও মা মিনারা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে র্যাব।
এদিকে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান সাংবাদিকদের বলেছেন, জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ ও বোমা তৈরির জন্য দুর্গম চর আলতুলিতে আস্তানাটি গড়ে তোলা হয়েছিল ছয় মাস আগে। এটি ছিল নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) আস্তানা। এখানে বোমা তৈরি ও বিস্ফোরণ ঘটনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। এছাড়া এখানে তৈরি বোমা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করত জঙ্গিরা। এর আগে আটক কয়েকজন জঙ্গির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কয়েকটি চরে র্যাব কিছুদিন ধরে নজরদারি করছিল বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা।