পৃথিবীতে রহস্যের শেষ নেই কত অজানা রহস্য যে চারপাশে! হাজার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়না সব রহস্যের সমাধান, বিজ্ঞানের এই যুগে ও রয়ে গেছে এমন অসংখ্য রহস্য যার কোন ব্যখ্যা আজো বিজ্ঞান দিতে পারেনি। আজ আপনাদের তেমন ই চারটি ঐতিহাসিক ঘটনা শোনাব যযার রহস্য এখনো ভেদ করা সম্ভব হয়নি।
১. সবুজ রঙ এর মানুষ: ১২ শতাব্দীর দিকে লন্ডনের এক গ্রাম্য অঞ্চলে খুঁজে পাওয়া যায় অদ্ভুত দুই দুই ভাই-বোনকে। দেখতে আর দশটা স্বাভাবিক মানুষের মতনই ছিল তারা। দুটো হাত, দুটো পা, একটা মুখ। তবে অস্বাভিবকতা ছিল অন্য একটি জায়গায়। আর সেটি হচ্ছে ওদের গায়ের রঙ ছিল পুরোপুরি সবুজ। আরো অদ্ভুত ব্যপার হল তাদের বাবা মা কে কেউ খুঁজে পায়নি! তাহলে তারা এলো কোথা থেকে?!
প্রথমে কথা বলতে চাওয়া হয় তাদের সাথে। কিন্তু অদ্ভুত কোন ভাষায় কথা বলছিল তারা। পরে অবশ্য ইংরেজি শিখে নেয় এই ভাই-বোন। ধীরে ধীরে হারায় তাদের গায়ের রং। বিশেষজ্ঞদের মতে পৌরাণিক গল্পকাহিনী, কিংবা সমান্তরাল মাত্রা । বিশ্বাস অবিশ্বাস পাঠকের একান্ত ব্যপার।
২.এলিয়েনদের বই: ধারণা করা হয় এটা ভয়ানক কোন ম্যানুস্ক্রিপ্ট! অদ্ভূত এই বইটি কোথায় এবং কবে খুঁজে পাওয়া যায় কেউ সঠিক ভাবে বলতে পারে না। ধারণা করা হয় ১৪০০ শতকের প্রথমভাগে লেখা এই বইটি। এর মূল বিশেষত্ব হচ্ছে এর ভাষা । খুঁজে পাওয়ার অনেকদিন হওয়া সত্ত্বেও এর ভাষার কোনরকম মানে বুঝতে সমর্থ হয়নি কেউ।
বোঝা যায়নি ঠিক কোন ভাষায় লেখা হয়েছে এর কথাগুলো। শুধু তাই নয়, বইটিতে রয়েছে ঝলমলে রঙ এর অনেকরকম অদ্ভূত গাছ ও প্রাণীর ছবি। যাকে বিশেষজ্ঞরা ভিনগ্রহবাসী বলে মনে করেন। অনেকের ধারনা এটি পৃথিবীর কারো লিখা বই নয়।
৩. মৃত পাহাড়: রাশিয়ার এই পাহাড়টিকে একনামে মৃত পাহাড় (Death hill) নামেই চেনে আশেপাশের সব মানুষ। শোনা যায় একবার এতে দশজন মানুষ নতুন পথ দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পরে তারা ফিরে না আসায় পাঠানো হয় অনুসন্ধানী দল।
আর সেই দল গিয়ে অত্যন্ত আশ্চর্য হয়ে দেখতে পায় যে, দশজনের দলের জন্যে নেওয়া তাবুগুলোতে খাবার ভর্তি রয়েছে এবং সেগুলো ভেতর থেকে কেটে ফেলা হয়েছে। ভাবটা এমন যেন সেটা কেটেছে ওরাই! মানুষগুলোকে অবশ্য পাওয়া যায় খানিক দূরে। সবাই মৃত ছিল তখন।
কয়েকজন পরিধান করেছিল মৃতদের পোশাক। আর বাকিদের ভেতরে একজন গাছে উঠতে থাকা অবস্থায় মারা গিয়েছিল। ঠিক কি হয়েছিল সেখানে ঐ দশজনের সাথে তা এখনো জানা যায়নি।
৪. অমর মানুষ: ১৭০০ শতকে জন্ম নেওয়া একজন মানুষ কে দেখা যায় একে একে ক্যাসানোভা, ভল্টেয়ার, কিং লুইস ১৫ এবং এমনকি জর্জ ওয়াশিংটনেরও সঙ্গী হতে। মোট ১২ টি ভাষায় পারদর্শী এই লোককে মানুষ ভায়োলিনবাদক, ধনী ইত্যাদি নানান পরিচয়ে জানত।একজন মানুষ কিভাবে এত দীর্ঘায়ু লাভ করতে পারে তা আজো বিজ্ঞানের ধারণার বাহিরে।
অনেকে মনে করত বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকে বাঁচানোর উপায় জানতেন এই লোকটি। ২১ শতাব্দী অব্দি তাকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় লোকসম্মুখে। কে জানে! তিনিই হয়তো সেই মানুষ যিনি আবিষ্কার করতে পেরেছিলেন অমর হবার ঔষুধ।
লেখকঃ শুভ্র ইমতিয়াজ