প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুংয়ের আমন্ত্রণে রবিবার (১১ মার্চ) চার দিনের সফরে সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়রলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়বে এবং ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় ১৪টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে পৌঁছাবে।বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীকে একটি মোটর শোভাযাত্রায় সাংগ্রি-লা হোটেলে নিয়ে যাওয়া হবে। সফরকালে তিনি সেখানেই অবস্থান করবেন।
সোমবার (১২ মার্চ) সিঙ্গাপুর সরকার শেখ হাসিনাকে স্বাগতিক অভ্যর্থনা জানাবে। অভ্যর্থনার পরে তিনি সিঙ্গাপুরের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হালিমা ইয়াকুবের সঙ্গে ইস্তানায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সোমবার সকালে তিনি সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুংয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন। এ বৈঠকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদারের লক্ষ্যে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট যাবতীয় বিষয়াদি আলোচনা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পরে তিনি সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এক মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রী সিঙ্গাপুরের বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান বোটানিক্যাল গার্ডেনে যাবেন। সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে একটি অর্কিডের নামকরণ করা হবে। সফরকালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু’দেশের সম্পর্ক আরও জোরদারের লক্ষ্যে ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
সম্ভাব্য চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে—বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) ও সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ (আইই)এর মধ্যে বিনিয়োগ সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্ব বিষয়ক সমঝোতা স্মারক, এয়ার সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত কনফিডেন্সিয়াল সমঝোতা স্মারক, ডিজিটাল লিডারশিপ, ডিজিটাল ইনোভেশন ও ডিজিটাল প্রশাসন রূপান্তর সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) ও মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এমসিসিআই)’র সঙ্গে সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়িক সংগঠন সিঙ্গাপুর ম্যান্যুফ্যাকচারিং ফেডারেশনের মধ্যে পৃথক দু’টি চুক্তি সমঝোতা স্মারক।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর বিজনেস ফোরাম-২০১৮ ও বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর বিজনেস রাউন্ডটেবল শীর্ষক দুটি পৃথক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন।
আগামী বুধবার (১৪ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।