চালের দাম কমছে না, মসলার দামে নেই হেরফের

0

কোরবানির ঈদের এক সপ্তাহ আগে ঢাকার বাজারে মসলার দামে তেমন হেরফের হয়নি। বিভিন্ন ধরনের চালের দাম রয়েছে আগের মতোই বাড়তি।

দুই দফায় বন্যায় খাদ্য সঙ্কট এড়াতে সরকার চাল আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে আনে। তাতে আমদানিও বেড়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী অর্থবছরের প্রথম ৫১ দিনে (১ জুলাই থেকে ২১ অগাস্ট) মোট ৩ লাখ ৫২ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের পুরো সময়ের প্রায় তিনগুণ। এরপরেও মোটা ও সরু চালের দাম বাড়তিও রয়েছে।

মিরপুরের শাহীন জেনারেল স্টোরের পরিচালক শহীদুল ইসলাম বলেন, মিনিকেট ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা, পাইজাম ও পাইরি ৪৪ টাকা, বিআর আটাশ ৪৮ থেকে ৫০ টাকা এবং নাজিরশাইল ৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন তারা।

শুক্রবার কারওয়ান বাজারে ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা মিনিকেট চাল ২৭৫০ থেকে ২৮৫০ টাকা, নাজিরশাইল ২৭৫০ থেকে ২৯০০ টাকা, আটাশ ২৫০০ টাকা, স্বর্ণা ও ভারত থেকে আসা মোটা চালের বস্তা ২০০০ টাকায় বিক্রি হয়। আর পোলাওয়ের চালের বস্তা আগের মতোই ৪১৫০ টাকা থেকে ৪২২৫ টাকায় বিক্রি হয়।

কারওয়ান বাজারের বরিশাল রাইস এজেন্সির ম্যানেজার আল হাসিব শুক্রবার বলেন, বন্যার শুরুতে চালের দাম কিছুটা বেড়েছিল, এখন দাম ওই অবস্থায়ই আছে।

খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২২ অগাস্ট ঢাকার বাজারে নাজিরশাইল ৫৪ থেকে ৫৮ টাকা, বিআর আটাশ ও পারিজা ৪৭ থেকে ৫০ টাকা এবং গুটি ও স্বর্ণা চাল ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়।

টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার ঢাকায় সাধারণ মানের নাজিরশাইল ও মিনিকেট ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, উত্তম মানের নাজিরশাইল ও মিনিকেট ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা, সাধারণ মানের পাইজাম ও লতা চাল ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা, উত্তম মানের পাইজাম ও লতা চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, স্বর্ণা ও চায়না ইরি চাল প্রতি কেজি ৪৩ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়।

মসলার বাজারে স্বস্তি

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে গরম মসলার দাম সামান্য বাড়লেও তাতে স্বস্তিতেই আছেন ভোক্তারা। ঈদের আগে গরম মসলার দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে বিক্রেতারা বলছেন।

শুক্রবার কারওয়ানবাজারে এলাচ ১৪৫০ থেকে ১৫৮০ টাকা, দারুচিনি ২৮০ টাকা, লবঙ্গ ১০৫০ টাকা, কালো গোলমরিচ ৮০০ টাকা এবং জিরা ৩৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়।

চিনি শিল্প করপোরেশনের চিনি ৬৭ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে। যদিও এই চিনির প্যাকেটের গায়ে দাম ৭০ টাকা লেখা রয়েছে। আর আমদানি হওয়া চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে।

কারওয়ান বাজারের অনিক জেনালের স্টোরের বিক্রেতা মো. সুলাইমান বলেন, অন্যবার কোরবানির ঈদের আগে গরম মসলার দাম বেশ বাড়লেও এবার সেভাবে বাড়েনি। ঈদের আগে মসলার দাম বাড়ার সম্ভবনা নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে