কৃষকের কথা বিবেচনা করলে চালের ন্যূনতম দাম কেজি প্রতি ৪০ টাকার নিচে নামা বাস্তবসম্মত নয় বলে মন্তব্য করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে চা প্রদর্শনী-২০১৮ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “একটা কথা মনে রাখবেন, আমাদের কৃষকের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। চালের দাম যখন কম ছিল, তখন সাংবাদিকরা লিখেছেন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই কৃষককে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। কৃষক চাল উৎপাদন আগ্রহ হারিয়ে ফেললে আমরা তো ক্ষতিগ্রস্ত হব।
“আমার ব্যক্তিগত মতামত, ৪০ টাকার নিচে কখনও চালের দাম আর আসবে না। … এটা (চালের দাম ৪০ টাকার নিচে হওয়া) বাস্তবসম্মতও না। সুতরাং চালের দাম অ্যারাউন্ড ৪০ টাকাই থাকবে এবং সেটাই বর্তমানে আছে।”
বাংলাদেশ খাদ্য উদ্বৃত্ত থেকে খাদ্য ঘাটতির দিকে চলে যাচ্ছে কিনা- এমন প্রশ্নে তোফায়েল বলেন, “গতবছর আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতেও বন্যায় পেঁয়াজ ও ধানের ক্ষতি হয়েছে। আমরা এখন খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশ হিসেবে থাকব। বন্যার পর ফসল আসতেছে এবং ফসল আসবে। তাতে আমরা ফসল উদ্বৃত্ত দেশ হিসেবে থাকব।আমদানি পরিস্থিতির তথ্য দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারি খাতে ১০ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে চাল ৬ লাখ ৪৯ হাজার মেট্রিক টন এবং গম ৩ লাখ ৬১ হাজার মেট্রিক টন। আর বেসরকারি কাতে ৫৬ লাখ ৬৪ হাজার মেট্রিকটন খাদ্যশষ্য। চাল ১৯ দশমিক ৩২ লাখ মেট্রিক টন এবং গম ৩৭.৩২ লাখ মেট্রিক টন। ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি খাতে মোট চাল আমদানির পরমিাণ ২৫ লাখ মেট্রিক টন।
“এই যে এখন আবার তেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে, আবার তো আমরা লোকসানির দিকে চলে যাচ্ছি। তেলের দাম কত বলা হয়েছে যে দাম কমানোর সাথে সাথে আমরাও কমিয়েছি। এখন আবার তেলের দাম বাড়তেছে, এবং এটারও একটা এফেক্ট হবে, যাই হোক,” বলেন তোফায়েল।
আগামী ১৮ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে চা বোর্ডের উদ্যেগে ‘বাংলাদেশ চা প্রদর্শনী ২০১৮’ প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।