ছাত্রজীবন এবং অর্থ ব্যবস্থাপনা: জেনে নিন ৫ মিনিটেই!

0
ছাত্রজীবন এবং অর্থ ব্যবস্থাপনা: জেনে নিন ৫ মিনিটেই

অর্থ একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। অর্থ কীভাবে ব্যবহার করছি এটার উপর আমাদের ভবিষ্যত জীবন কেমন হবে তা অনেকটাই নির্ভরশীল। অর্থের যথেচ্ছা ব্যবহার আমাদের জীবনে ভয়াবহ বিপর্যয় নিয়ে আসতে পারে। আবার সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের জীবনে অর্থনৈতিক সাম্যবস্থা (financial stability) আসতে পারে। ছাত্রজীবনে অর্থ কীভাবে ব্যবহার করা উচিৎ তা আলোচনা করছি।

অর্থ আয়

অর্থ ব্যবস্থাপনার চিন্তা তখনই আসবে যখন অর্থ প্রবাহ ঘটবে, অর্থাৎ আমরা আয় করা শুরু করব। ছাত্রজীবনই আয় শুরু করার উপযুক্ত সময়। এ সময় আয়ের উৎস হিসেবে টিউশনি সবচেয়ে জনপ্রিয়। কারন এটা শুরুর জন্য কোন মূলধন প্রয়োজন হয় নয়া। টিউশনি ছাড়াও অনেকে পার্টটাইম চাকরি, ব্যবসাও করে থাকেন।

অর্থ সঞ্চয়

আপনার উচিৎ আপনার আয়ের কিছু অংশ ভবিষ্যতের জন্য জমা করে রাখা। আপনার জীবন ধারণের জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু রেখে বাকিটুকু জমা করে রাখা উচিৎ। টাকা জমানোর জন্য ব্যংক একাউন্ট সবচেয়ে ভালো। বেশ কিছু ব্যংক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য খুব অল্প সার্ভিস চার্জের বিনিময়ে ব্যংক একাউন্ট খুলার সুবিধা দেয়।

অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানো

অনেকেরই একটা বাজে অভ্যাস আছে। কোন কিছু পছন্দ হলেই সেটার প্রয়োজন না থাকলেও কিনতে আগ্রহী হয়। এটা খুবই বিপদজনক অভ্যাস। অনেকেই নতুন মডেলের মোবাইল আসলেই সেটা কিনার জন্য অস্থির হয়ে পড়ে। অথচ এই জিনিসটাই কয়েক মাস পর পুরাতন মডেল হয়ে যায়। তখন আবার নতুন মডেলের ফোন কিনতে আগ্রহী হয়। এ ধরনের অপ্রয়োজনীয় খরচ কখনোই করা উচিৎ না। যেটা আপনার প্রয়োজন শুধু সেটার পেছনেই অর্থ ব্যবহার করবেন। কখনোই অপ্র্যোজনে অর্থ ব্যবহার করা উচিৎ না।

বাজেট

আপনি কোন কোন কাজে কি পরিমাণ অর্থ ব্যয় করবেন তার একটা বাজেট তৈরি করতে হবে প্রতি মাসে। এতে করে অপ্রয়োজনীয় খরচ থেকে বাঁচা যায়।
ঋণ থেকে বেচে থাকা। ঋণের মত এত বড় বোঝা আর নাই। ঋণ জীবনকে অস্থিতিশীল করে তোলে। খুব বিপদে না পড়লে ইহা না নেওয়াই উত্তম। যদি কখনো নিতেই হয়, তাহলে যখনই আয়ের সুযোগ তৈরি হবে তখনই ঋণ পরিশোধে তৎপর হতে হবে।

দক্ষতা বৃদ্ধি

ছাত্র জীবনে অনেক ভালো ফলাফল করার পরেও অনেকেই কর্পোরেট জীবনে ভালো করতে পারে না কারণ প্রয়োজনীয় বিষয়ে দক্ষতার অভাব। আয়ের যে অংশ জমা করবেন সেটার একটা অংশ দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করতে পারেন। মাইক্রোসফট অফিস, উপস্থাপনা, কর্পোরেট গ্রুমিং, কন্টেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, সাতার ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে কিছু অর্থ ব্যয় করতে পারেন।

মানবকল্যাণ

নিজের আয়ের কিছু অংশ মানব কল্যাণে ব্যয় করতে পারেন।

অর্থ বিনিয়োগ

প্রতি মাসে অল্প অল্প করে অর্থ জমিয়ে যখন মোটামুটি একটা ভালো পরিমাণ হবে, তখন এটাকে বিনিয়োগ করতে পারেন। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিজে ব্যবসা করতে পারেন বা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেতে পারেন। তবে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে সাবধানে করবেন এবং এই সেক্টর ভালো বুঝে এমন বিশ্বস্ত কারো সাথে আলোচনা করে বিনিয়োগ করবেন।

তথ্য সংগ্রহ: নাজমুস সাকিব