নীলফামারী পৌর এলাকায় কলেজ স্টেশন সড়ক সংলগ্ন নীল কুঞ্জ পাড়ায় হোসেন আলী যাদুর বাড়ি বিক্রির টাকা পেলেও ক্রেতার নামে রেজিস্ট্রি করা বাকি ছিল।
এ বাড়ির ক্রেতা প্রতিবেশী শাহিনুর আলমকে বাড়িটি বুঝিয়ে দিতে গত শুক্রবার সেখান থেকে নতুন বাড়িতে মালামালও সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে ওই বাড়িতেই সে রাতে ‘নিঃশব্দে’ খুন হন হোসেন আলী যাদু।
পরদিন লাশ উদ্ধারের সময় নিহতের স্ত্রী, ২ ছেলে এবং ছোট ছেলের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিবার বিকালে নিহতের স্ত্রী ও বড় ছেলে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়ে এ হত্যার দায় স্বীকার করে বলে জানান নীলফামারী সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদ-উন নবী।
তিনি বলেন, নীল কুঞ্জ পাড়ার এ বাড়ির খুনের ঘটনাটিতে ‘ধোয়াশাঁ ছিল’। ওই বাড়ির ক্রেতাকে ফাঁসিয়ে সাড়ে নয় লাখ টাকা আত্মৎসাতের জন্য এ খুন করার কথা জিজ্ঞাসাবাদে শেষপর্যায়ে স্বীকার করেন নিহতের স্ত্রী এবং বড় ছেলে।