জলবদ্ধতা-যানজটে ভোগান্তি নগরবাসীর দেখেও যেন দেখার কেউ নেই

0

মাত্র ঘণ্টাখানিকের চাইতে ও কম বৃষ্টিতে আবারো তলিয়ে গেল রাজধানী ঢাকা। মূল সড়ক, অলিগলিতে কোথাও হাটু পানি আবার কোথাও কোমর সমান পানি জমে যায়। পানির মধ্য দিয়ে চলতে গিয়ে পুরো নগর জুড়ে দেখা দেয় তীব্র যানজট সহ যাবতীয় বিপদ। বিশেষ করে অফিস ফেরত মানুষকে পড়তে হয় চরম বিড়ম্বনায়।
জলাবদ্ধতা

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে এক ঘণ্টার মতো ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এতে নগরীর কেন্দ্রস্থল মতিঝিল, পল্টন, গুলিস্তান, আরামবাগ, নয়াপল্টন, কারওয়ানবাজার, বনানী, মহাখালি, ধানমন্ডির মিরপুর রোড, উত্তরার বিমান বন্দর এলাকাসহ অনেক সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যায়। এছাড়া বিভিন্ন এলাকার অলিগলির সড়কেও পানি জমে যায়। বঙ্গভবনের দক্ষিণ গেট সংলগ্ন রাস্তায় অন্যান্য দিনের বৃষ্টিতে হাটু সমান পানি জমলেও আজকের বৃষ্টিতে কোমর সমান পানি জমে যায়। এতে অনেক প্রাইভেটকারের মধ্যেও পানি ঢুকে যেতে দেখা গেছে। সড়ক ও ফুটপাতে পানি জমে যাওয়ায় পথচারীদের চলাচলে ব্যাপক অসুবিধার সৃষ্টি হয়। এছাড়া গভীর পানির মধ্যে দিয়ে ভাঙ্গাচোরা সড়ক দিয়ে চলতে গিয়ে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। এতে প্রতি সড়কেই গাড়ির দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় পার করতে হয় যাত্রীদের।
আবহাওয়া অধিদফতরের হিসেবে দুপুরে বৃষ্টি হয়েছে ২৪ মিলিমিটারেরও কম।

আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস জানান, রাজধানীতে বৃষ্টি হয়েছে ২৩.৬ মিলিমিটার।
গত ২৫ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৬ জুলাই দুপুর পর্যন্ত রাজধানীতে বৃষ্টি হয়েছে অস্বাভাবিক। আর এ বৃষ্টিতে নগরীর একটি বড় অংশ তলিয়ে সৃষ্টি হয় জলবদ্ধতার। ওই সময় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলে তা সিটি করপোরেশনের আয়ত্বের মধ্যে থাকে। এর বেশি হলে তা সিটির সক্ষমতার বাইরে চলে যায়। আর ওই বৃষ্টিপাত ছিল এর চেয়ে বেশি। এর ফলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। তবে মঙ্গলবার বিকেলে ১০ মিনিটের বৃষ্টিতে সচিবালয়, মতিঝিল, পল্টন, দৈনিকবাংলা এলাকা তলিয়ে যায়। পরদিন বুধবারও একই চিত্র দেখা গেলো। এদিন বৃষ্টি বেশি বলে দুর্ভোগও বেশি হয়েছে মানুষের। চলতি বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি বৃষ্টি হচ্ছে রাজধানীতে। আর এ কারণে জলাবদ্ধতার সমস্যাও বেশি।

জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশন, ওয়াসা এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বয়হীনতার কথাও এসেছে। নগরীর পানি নিষ্কাষণের জন্য ঢাকা ওয়াসা নগরীর চারপাশে জমে থাকা পানি পাম্প করে নদীতে ফেলে। সেখানে পানি যেতে যে খাল ও নালা রয়েছে, সেগুলো ভরাট বা বেদখল হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক গতিতে পানি নামতে পারছে না।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন অবশ্য বলেছেন, নগরীতে জলজটের এ সমস্যা আগামী বছর আর থাকবে না।

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান জানিয়েছেন, নগরীর পানি ব্যবস্থাপনাকে একটি সংস্থার আওতায় এনে দায়িত্ব দেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। আর সেই দায়িত্ব দেয়া হতে পারে সিটি করপোরেশনকে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে