জিপিএ-৫ এর চেয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা ২০ হাজার বেশি

0
জিপিএ-৫ এর চেয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা ২০ হাজার বেশি

আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১২ লাখ ৮৮ হাজার শিক্ষার্থী। এর মধ্যে মোট উত্তীর্ণ হয় ৮ লাখ ৫৮ হাজার শিক্ষার্থী। এর বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে চায়।

উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ইচ্ছুক এই কয়েকলাখ শিক্ষার্থীকে এবারও ভর্তি পরীক্ষা নামক যুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছুটে বেড়াতে হবে। অভিভাবকদেরও ভোগান্তি পোহাতে হবে, করতে হবে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ও। কিন্তু কষ্টের পরও কতজনের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন-পূরণ হবে?

এই ভোগান্তির কথা চিন্তা করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদও গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ার জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মন্ত্রীর এ আহ্বানে সাড়া দেয়নি। পরে রাষ্ট্রপতিও গুচ্ছ পদ্ধতি পরীক্ষা নেয়ার আহ্বান জানান। এরপরে এ সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করা হয়। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগামী বছর থেকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়া হতে পারে ।

এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩০ হাজারেরও কম। অন্যদিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। সে হিসাবে ভর্তির আশা দেখছে জিপিএ৪ থেকে ৫ এর মধ্যে থাকা শিক্ষার্থীরাও। ২০১৬ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৫৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। এবার এ সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার কমেছে। তবে ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করলে সুযোগও মিলে যেতে পারে, এমন আশাই দেখছে শিক্ষার্থীরা। এবার জিপিএ ৪ থেকে ৫ এর মধ্যে রয়েছে ১ লাখ ৯১ হাজার শিক্ষার্থী। কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির সুযোগ পাবে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার শিক্ষার্থী।

তবে কাঙ্ক্ষিত প্রতিষ্ঠানে সুযোগ না হলেও উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবার সুযোগ নেই কারো। দেশের ৪০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ১০৩ টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার। এর বাইরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সারাদেশের ৫১৬টি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স পড়ানো হয়। অনার্সে (স্নাতক) ভর্তিযোগ্য আসন রয়েছে ৪ লাখের বেশি। সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতেও আসন রয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার। শিক্ষাবিভাগ বলছে, দেশে সব মিলে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে আসন রয়েছে ১৩ লাখেরও বেশি।