ঝলমলে চুলের সিক্রেট

0

ঝলমলে সুন্দর চুল নারীর সৌন্দর্যের মাত্রা কয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলে। আমরা প্রায় সময় নগর জীবনের ব্যস্ততায় চুলের যত্নের কিছুটা খামখেয়ালি হয়ে যাই। সামান্য অযত্নের ফলে আমাদের সুন্দর ঝলমলে নজর কাড়া চুল হয়ে যেতে পারে রুক্ষ এবং নির্জীব। কিন্তু খুব সহজেই কয়েকটা সুক্ষ্ম উপায় অবলম্বন করলে আমাদের প্রিয় চুলগুলো সবসময়ের মত প্রাণবন্ত থাকতে পারে।
ঝলমে চুল

১. কমপক্ষে তিন দিন পরপর চুল পরিষ্কার করতে হবে,তা না হলে ত্বকে ময়লা জমে খুশকি হতে পারে।
২. চুল অতিরিক্ত ধোয়া ঠিক নয়।এতে মাথার ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল নিঃসরিত হয় ও চুল চিটচিটে করে তোলে।
৩. আপনার চুলের জন্য উপযোগী একটি শ্যাম্পু নির্দিষ্ট করে নিবেন।তবে যেন তা আপনার চুলকে কার্যকর ভাবে পরিষ্কার করে। শ্যাম্পু করার পূর্বে সম্পূর্ণ চুল পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে,এরপর শ্যাম্পু দিতে হবে।ধীরে ধীরে শ্যাম্পু পুরো চুলে এবং মাথার ত্বকে মেখে নিন এবং ভালোভাবে চুল ধুয়ে ফেলুন। খেয়াল রাখবেন, শ্যাম্পু যেন চুলে মা মাথার ত্বকে লেগে না থাকে। মাথার ত্বক পরিষ্কার করার জন্য আঙ্গুল ব্যবহার করুন, নখ নয়।
৪. শ্যাম্পুর পর আপনার চুলের ধরণ অনুযায়ী কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।কন্ডিশনার আপনার চুলকে নরম,মসৃণ ও ময়েশ্চারাইজ করবে। কন্ডিশনার চুলকে ভেঙ্গে যাওয়া,রুক্ষ হওয়া থেকে রক্ষা করে। তবে খেয়াল রাখবেন কন্ডিশনার যেন চুলের গোড়ায় অর্থাৎ মাথার তালুতে না লাগে।
চুলের যত্ন

৫. চুলের মলিনতা ও রুক্ষতা দূর করতে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে একদিন চুলে উষ্ণ তেল ম্যাসাজ করবেন।তেল চুল ঝরে যাওয়া প্রতিরোধ করে।নারকেল, জলপাই অথবা বাদাম তেল হালকা গরম করে আঙ্গুলের সাহায্যে পুরো মাথায় চক্রাকারে ম্যাসাজ করুন কয়েকঘন্টা অথবা এক রাত অপেক্ষা করে,তারপর শ্যাম্পু করে ফেলতে পারেন।
৬. চুলের ধরণ তৈলাক্ত হলে, শ্যাম্পু করার পর এক মগ পানিতে খানিকটা লেবুর রস অথবা খানিকটা ভিনেগার মিশিয়ে পুরো চুল ধুয়ে ফেলবেন। চুল ঝলমলে ও উজ্জ্বল দেখাবে।
৭. চুলে কখনওই সাবান ব্যবহার করবেন না।কারণ সাবানের ক্ষার চুলকে রুক্ষ করে।
৮. ভেজা চুলে চিরুনি করা বা ব্রাশ করা থেকে বিরত থাকবেন।এতে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায় ও চুল পড়তে পারে।
৯. স্বাভাবিক উপায়ে চুল শুকাতে হবে। হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না।
মনে রাখবেন, হেয়ার ড্রায়ার আপনার চুলের শত্রু।

লেখাঃ জাফরীন আহমেদ

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে