সিলেট নগরীর সুরমাগেট এলাকায় ৯ জুলাই সন্ধ্যার ঠিক আগে মোটরসাইকেল চড়ে যাচ্ছিলেন চালকসহ তিন আরোহী। এদের কারও মাথায়ই হেলমেট ছিল না। অস্থায়ী নিরাপত্তাচৌকিতে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ মোটরসাইকেলটি দেখার পর তাদের থামিয়ে কাগজপত্র দেখতে চাইলে তাদের একজন সাংবাদিক পরিচয়ে সেখান থেকে ফেসবুকে ‘লাইভ’ শুরু করেন। এসময় হয়রানির অভিযোগ তুলে প্রায় আধা ঘণ্টার লাইভে ঐ ব্যক্তি ট্রাফিক পুলিশকে ইচ্ছামতো ভর্ৎসনা করেন।
ঘটনার দুই দিন পর এ ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে ট্রাফিক পুলিশ। জানা যায়, লাইভে যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম ফয়ছল কাদির। রবিবার রাতে শাহপরান থানায় দায়ের করা মামলায় ফেসবুক লাইভে যাওয়া ফয়ছলকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। কিন্তু মামলার পরপরই ফেসবুক থেকে ভিডিও সরিয়ে ফেলে ফয়ছল পূর্ববর্তী ঘটনার জন্য ‘মাফ চাই’ বলে আরেকটি লাইভ করেন।
ঐ মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৯ জুলাই বিকেলে মহানগরের শাহপরান থানা এলাকার সুরমাগেটে অস্থায়ী নিরাপত্তাচৌকি স্থাপন করে ট্রাফিক বিভাগের কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে একটি নম্বরবিহীন মোটরসাইকেলে হেলমেটবিহীন তিনজন আরোহীসহ মোটরসাইকেলটির চালক ফয়ছল কাদিরকে (৪০) আটক করা হয়। তাঁর কাছে গাড়ির কাগজপত্র ও বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে হেলমেটবিহীন অবস্থায় তিনজন চলাচল করার কারণ জানতে চাইলে তিনি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ফেসবুক লাইভ করা শুরু করেন। এ সময়ে তিনি ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফয়ছল কাদির ফেসবুকের যে আইডি থেকে লাইভে গিয়েছিলেন, সেটির নাম ‘পিকে টিভি’ (পৃথিবীর কথা)। ফেসবুকভিত্তিক এই পেজটির তিনিই পরিচালক। আর ‘পৃথিবীর কথা’ নামের অনলাইন পোর্টালে প্রকাশক হিসেবেও তাঁর নাম রয়েছে।
ফেসবুক লাইভটিতে দেখা যায়, মোটরসাইকেলটি ট্রাফিক পুলিশ আটকানোর পর ঐ ব্যক্তি উল্টো ট্রাফিক পুলিশের গাড়ির কাগজপত্র ঠিক আছে কি না, তাঁদের মাথায় হেলমেট আছে কি না, প্রভৃতি প্রশ্ন তুলে নানা রকম ভর্ৎসনা করা শুরু করেন। এছাড়া নম্বরবিহীন মোটরসাইকেল আটকানোয় তিনি ফেসবুক লাইভে রোগী বহনকারী গাড়ির নম্বর নেই, সেসব তুলে ধরে অপ্রাসঙ্গিকভাবে ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে নানা রকম বিদ্রূপাত্মক মন্তব্য করতে থাকেন।














