স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, টিকাদান কর্মসূচি এ মাস থেকে আরও বেগবান হবে। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার ব্যাপারে ডব্লিউএইচও’র অনুমোদনের অপেক্ষা করা হচ্ছে।
সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে তিনি আরো বলেন, টিকা কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসে আরও আড়াই কোটি টিকা পাওয়া যাবে। এর মধ্যে দুই কোটি আসবে সিনোফার্ম বাকিগুলো ফাইজারের টিকা।
‘১২ বছরের বেশি বয়সী যারা আছে, তাদের টিকা দেওয়ার ব্যাপারে ডব্লিউএইচও’র অনুমোদনের অপেক্ষা করা হচ্ছে। কোনো দেশেই তারা এর অনুমোদন দেয়নি। যেসব দেশ দিচ্ছে, তারা নিজেদের মত করেই দিচ্ছে। এ ব্যাপারে টেকনিক্যাল কমিটির অনুমোদনেরও প্রয়োজন আছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হলো- টিকা যাদের দেওয়া সম্ভব, সবাইকেই দিতে হবে। ১২ থেকে ১৭ বছরের যারা আছে, তাদেরও টিকা দেওয়া হবে। কিন্তু শর্ত আছে। ডব্লিউএইচও এর অনুমোদন আমাদের পেতে হবে। আমাদের টেকনিক্যাল কমিটির অনুমোদনও পেতে হবে। যার অপেক্ষায় আমরা আছি।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১৭ হাজার বেড ছিল, এখন সেখানে ১২ থেকে ১৪ হাজার বেড সারাদেশ খালি এবং ঢাকায় ৭৫ ভাগ খালি আছে। করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় এগুলো খালি হয়েছে। বেডগুলো ক্যান্সারসহ সাধারণ রোগীদের জন্য দেওয়া হবে।
‘আমাদের সে সংখ্যার টিকাও হাতে থাকতে হবে। কাজেই সে টিকার ব্যবস্থা আমরা করছি এবং ডব্লিউএইচও’র অনুমোদন সাপেক্ষে আমরা এ টিকাগুলো দিতে পারব। এরই মধ্যে কয়েকটি দেশে ১২ বছরের এবং তার ঊর্ধ্বে টিকা দেওয়া হচ্ছে। ২২টি দেশে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ডব্লিউএইচও এখনো ফর্মালি অনুমোদন দেয়নি, এটা যে-যে দেশে দিচ্ছে, তারা নিজেদের দেশে দিচ্ছে, নিজেদের মতো করে এবং নিজেদের আইন অনুযায়ী।’
তিনি আরো জানান, যে সব দেশে দেওয়া হচ্ছে, ফাইজার এবং মর্ডানার টিকাটাই দেওয়া হচ্ছে। যেসব টিকা ডব্লিউএইচও ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের দেওয়ার অনুমতি দেবে, আমরা সেই টিকাগুলোই দেব। গতকাল (৫ সেপ্টেম্বর) একটি মিটিং হয়েছে, যেখানে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরই মধ্যে শিক্ষকদের টিকা দিয়েছি, অনেক ছাত্রকে দেওয়া হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের আমরা টিকা দিয়েছিলাম।