সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জে ডাকাতি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় গণপিটুনিতে এক ডাকাত নিহত হয়েছে। সিনেমার স্টাইলে গুলি করতে করতে পালিয়ে যায় অন্য ডাকাত সদস্যরা। তাদেরকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে স্থানীয় ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
উপজেলার পশ্চিম দত্তরাইল জামে মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে রবিবার ভোরে। ঘটনার পর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের দত্তরাইল মিশ্রপাড়া গ্রামের জ্ঞান সেনের বাড়িতে রবিরার ভোরে ডাকাতি করতে যায় সংঘবদ্ধ ডাকাত সদস্যরা। এ সময় ডাকাত দল জ্ঞান সেন এবং তার স্ত্রী শক্তি রাণী সেনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে রাখে। ডাকাতিতে বাধা দিলে ডাকাত সদস্যরা জ্ঞান সেনের ছেলে দুলাল সেনকে মারধর করে গুরুতর আহত করে নগদ দুই লাখ টাকা, এক হাজার ডলার, ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। ডাকাতির পর ডাকাতরা আশ্রয় নেয় পশ্চিম দত্তরাইল জামে মসজিদ এলাকায়।
এ সময় মসজিদের ইমাম বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয় লোকজনদের অবগত করলে গ্রামের লোকজন ডাকাতদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। এ সময় ডাকাতরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ঢাকাদক্ষিণ পশ্চিম দত্তরাইল গ্রামের মৃত সাহাবুদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২২), মানোয়ার হোসেন (২৪), সাইদুল ইসলাম (৪০), বকু মিয়ার ছেলে আরমান আহমদ (৩০) ও দুলাল আহমদ (২৭)। তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে অন্য ডাকাতরা পালিয়ে গেলেও লোকজন একজন ডাকাত সদস্যকে ধরে গণধোলাই দিলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তার কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র ও লুণ্ঠিত কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন গোলাপগঞ্জ থানার ওসি হারুনুর রশীদ চৌধুরী। পালিয়ে যাওয়া ডাকাতদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেন তিনি।
ডাকাতির খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাশেদুল হক চৌধুরী।