রাজধানীর যানজট নিরসনের দায়িত্ব আমার না, দুই সিটি করপোরেশনের, বলেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, । এর পরেও আমি দুই মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছি এবং আবারও বলাবো। রাস্তা যানজটের কারণ হবে না বলে গণমাধ্যম কর্মীদের এ সময় আশ্বস্ত করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) আসন্ন ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে বিআরটিএ’র ভিজিলেন্স টিমের কার্যক্রম পরিদর্শনে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে এসে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
রাজধানীর ভাঙা সড়কের কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, গতকাল সোমবার থেকে রাজধানীতে যানজটের চিত্র ভিন্ন। আজকেও অনেক কম এবং এটা ক্রমান্বয়ে কমে আসবে। কারণ, সব মানুষ এখন ঘরমুখো।
রাজধানীর বিষয়টি আমার না, দুই সিটি করপোরেশনের। এর পরেও আমি দুই মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছি এবং আবারও বলাবো।
এসময় মন্ত্রী ঈদে কোনও পরিবহন যদি অতিরিক্ত ভাড়া নেয়, তাহলে বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালতে খবর দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কেউ যদি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে, তাহলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে, আপনারা সেখানে অভিযোগ করবেন। অভিযোগ সত্য হলে ওই পরিবহনের কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা হয়েছে। এ কারণে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে সেগুলো মেরামতের নির্দেশ দিয়েছি। এর পরেও ঈদযাত্রায় রাস্তায় যানজট যে হবে না, সেই নিশ্চয়তা দিতে পারি না। তবে এবার রাস্তার কারণে যানজট হবে না।
কাদের বলেন, ‘আমি রাস্তা নিয়ে মোটেই চিন্তিত নই। সারাদেশের মহাসড়ক খুব ভালো অবস্থানে আছে। যেগুলো বন্যা ও টানা বর্ষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, সেগুলো সোমবারের (২৮ আগস্ট) মধ্যেই যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশ্বস্ত করছি, সারাদেশে রাস্তা যানজটের কারণ হবে না। সড়ক ও মহাসড়ক চলাচলের উপযোগী। কিন্তু যানজট যে হবে না, এই নিশ্চয়তা আমি দিতে পারি না।
রাস্তায় কী কারণে যানজট হতে পারে, তা উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘রাস্তার ওপর পশুবাহী গাড়ি ও ধীরগতির গাড়িগুলো মাঝে মাঝে আটকে যায়। বিশেষ করে সেতুর ওপর এমনটা বেশি হয়। আস্তে আস্তে লম্বা লাইন হয়ে যায়। তখন যানজট দেখা দেয়।
ওবায়দুল কাদের চালকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা ঘুমন্ত অবস্থায় গাড়ি চালাবেন না। গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না। কোনও অবস্থায় অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালাবেন না। ঈদের সময় ভারি যানবাহন চালাবেন না। ফিটনেস বিহীন গাড়ি চালাবেন না। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন। এমন কাজ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’