ইনসাইড ডেস্ক:
কোভিডে দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হলে অভিযান পরিচালনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিছু ছাত্র অবৈধভাবে হলে অবস্থান করছেন এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুটি হলে অভিযান চালিয়ে তিনটি করে ছয়টি কক্ষ সিলগালা করা হয়েছে।
প্রক্টরিয়াল টিম থেকে জানা গেছে, রাত সাড়ে দশটায় শুরু করা এ অভিযানের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে হানা দেয় প্রশাসন। অভিযানটি চলে রাত ১টা পর্যন্ত। প্রথমে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে অভিযান চালানো শুরু হলে খবর পেয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাহিত্যবিষয়ক উপসম্পাদক এস এম রিয়াদ হাসানসহ হলে অবস্থানরত বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থী হল থেকে পালিয়ে যান। ফলে অভিযানে কাউকে আটক করা যায়নি। এরপর এসএম হলে অভিযান চালানো হলে একইভাবে সবাই পালিয়ে গেলে কাউকেও গ্রেপ্তার করা যায়নি। এরপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের রুম নাম্বার ৩০১, ৩০২ ও ৩০৩ নম্বর এবং এসএম হলের ২৫, ২৯ ও ৩৯ নাম্বার কক্ষগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়।
অভিযানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্য, জহুরুল হক হল ও এসএম হলের প্রাধ্যক্ষ, হলগুলোর আবাসিক শিক্ষক, এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
অভিযানের বিষয়ে প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী জানান, ‘জহুরুল হক হলে পূর্বেই কোনোভাবে অভিযানের খবর পেয়ে অবস্থানকারী ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়। তবে রুমে আমরা তাদের উপস্থিতির আলামত পেয়েছি, বাতিও জ্বালানো ছিল। সে সূত্রে আমরা শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও এসএম হলে অভিযান চালিয়ে দুই হলের তিনটি করে মোট ছয়টি কক্ষ সিলগালা করে দিয়েছি। এসএম হলে একজন সাধারণ শিক্ষার্থীকে পাওয়া গেলে হল প্রাধ্যক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত রাখব আমরা।’
জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন জানান, ‘বন্ধ হলে কেউ ঢুকে অবস্থান করছেন, বিষয়টি তাঁদের জানা ছিল না। কিভাবে ঢুকেছে সেটিও ধারণাতে নেই৷ তবে যেসব রুমে আমরা অবস্থানের আলামত পেয়েছি, সেসব রুম সিলগালা করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি।’