তেহরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নিয়েছে ইউরোপ

0
নিষেধাজ্ঞা

ইরানের পরমাণু চুক্তিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন ধরে রাখতে তেহরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নিয়েছে ইউরোপের কয়েকটি দেশ। বিশ্লেষকরা ইউরোপের এ পদক্ষেপকে পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে ইউরোপের দ্বিমুখী নীতির বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন। ইউরোপ পরমাণু সমঝোতা টিকিয়ে রাখার পক্ষে মত দিলেও এর জন্য ইরানকে মূল্য দিতে হচ্ছে।
নিষেধাজ্ঞা
ফ্রান্সসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশ পরমাণু সমঝোতাকে তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থের আলোকে মূল্যায়ন করে থাকে। এ কারণে তারা পরমাণু সমঝোতা পুরোপুরি বাস্তবায়নের কথা বলে আসছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট পরমাণু সমঝোতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন এটি দেখানোর চেষ্টা করছে যে তারা ট্রাম্পের চিন্তাভাবনার সঙ্গে একমত নয়। কিন্তু তারপরও ইউরোপের কোনো কোনো দেশের আচরণে প্রমাণিত হয়েছে, পরমাণু সমঝোতার বিষয়ে তাদের মধ্যে খুব একটা ঐকমত্য নেই।

ইরানের আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষজ্ঞ দিয়াকু হোসেইনি তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র ইস্যুতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইউরোপের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ইউরোপও ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে মধ্যপ্রাচ্যের জন্য হুমকি বলে মনে করে এবং এ ব্যাপারে তারা সবাই একমত। তবে এ ক্ষেত্রে ইরানের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যায় তা নিয়ে তাদের মধ্যে মতবিরোধ আছে।

মার্কিন কংগ্রেসের কোনো কোনো সদস্য সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ইউরোপ যদি পরমাণু সমঝোতায় পরিবর্তন আনা কিংবা ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য পদক্ষেপ না নেয় তা হলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগামী মে মাসে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন।

মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির প্রধান বব কুরকার এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইরানের কাছ থেকে কিছু দাবি আদায়ের প্রশ্নে ইউরোপ-আমেরিকার সঙ্গে একমত না হলে পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকা বেরিয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় ইউরোপের ওপর চাপ সৃষ্টি করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের কাছ থেকে কোনো ছাড় আদায় করতে পারবেন কিনা সেটিই প্রশ্ন।

ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি তেহরান সফরকারী ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউসুফ বিন আলাভির সঙ্গে সাক্ষাতে বলেন, পরমাণু সমঝোতায় কোনো সংযোজন বা বিয়োজন করার চেষ্টা তেহরান মানবে না। তিনি বলেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির উদ্দেশ্য আত্মরক্ষামূলক এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, প্রচার চালিয়ে কিংবা রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে এ থেকে কেউ ইরানকে বিরত রাখতে পারবে না।