১৮৪১ সাল থেকে পর্তুগাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সংরক্ষিত রয়েছে কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার দিয়াগো আলভেজ এর মাথা। ১৮১০ সালে গ্যালিসিয়াতে দিয়াগো আলভেজ এর জন্ম । কর্মসূত্রে পাড়ি দিয়েছিলেন লিসবন । লিসবনে পা রাখতেই সে উপলব্ধি করে – অপরাধ জগতে কাজ করেই কম পরিশ্রমে বেশি আয় করা সম্ভব । পর্তুগালের প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে কিলিং মিশন সম্পন্ন করে লুঠতরাজ চালাতো সে , মূলত গরীব কৃষকদের ই টার্গেট করেছিলো সে । লুটপাট করে তাদের নৃশংস ভাবে মানুষ হত্যা করে আলভেজ বিকৃত সুখ লাভ করতো । মূলত হত্যার পর মানুষদের পানিতে ডুবিয়ে বা ফেলে দেয়াকে সহজ কাজ মনে করতো এই সিরিয়াল কিলার ।
এই পদ্ধতিতে কমপক্ষে সত্তর জনকে হত্যা করেছে এই সিরিয়াল কিলার। পুলিশ অধিকাংশ সময়েই এই সব গরীব চাষীদের হত্যার কারণ উদঘাটনে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা বলেই চালিয়ে দিতো ! পুলিশের অধিকাংশ প্রতিবেদনেই তখন বলা হয়েছিলো – দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি , কৃষিপণ্য ও বীজের দাম , জলবায়ুগত সমস্যার কারণে চাষীরা আত্মহত্যা করছে । বেশ কয়েকবছর এভাবে হত্যা কান্ড চালানোর পর অবশেষে ধরা পড়ে দিয়াগো! ১৮৪১ সালে তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয় ।
যখন দিয়াগোকে মৃত্যদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছিলো তখন ফ্রেনোলজী ছিলো একটি জনপ্রিয় বিষয় । যে কোনো মানুষের মস্তিষ্কের উপর গবেষণা করে তার মানসিক চিন্তাধারার উৎপত্তিগত স্হান আবিষ্কার এবং মানসিক গুণবালী কিংবা বিকৃতি নির্ণায়ক পদ্ধতিকে বলা হয় ফ্রেনোলজী । ( Phrenology is a pseudomedicine primarily focused on measurements of the human skull, based on the concept that the brain is the organ of the mind, and that certain brain areas have localized, specific functions or modules ) এই পদ্ধতিতে মানুষের অপরাধমূলক প্রবণতার মাত্রাও বের করার চেষ্টা করা হয়েছিলো ।
দিয়াগো আলভেজের করোটি এবং মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণার কথা প্রস্তাবিত হয় এবং পর্তুগাল কর্তৃপক্ষ এতে সম্মতি দেয় । এজন্য প্রায় দেড়শো বছর ধরে পর্তুগাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সংরক্ষিত আছে এই সিরিয়াল কিলারের কর্তৃত মাথা।
লেখক : Asif Soikot