কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের পক্ষ থেকে করা মামলাগুলো আগামী দুই দিনের মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ করা না হলে আন্দোলনে নামবেন তারা। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাবি’র কেন্দ্রীয় লাইব্রেবির সামনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এ দাবি জানান।
গত সপ্তাহে ওই আন্দোলন চলাকালে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের বাসায় হামলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে চারটি মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ নেতারা বলেন, একটি কুচক্রী মহল কেন্দ্রীয় কমিটির বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। আমাদের জামায়াত-শিবির পরিচয় দিতে চাইছে, যা পুরোপুরি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আন্দোলন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য এসব করা হচ্ছে। এ ধরনের বিষয় প্রচার করা হলে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।
তারা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নিয়েছেন। কিন্তু আমাদের ভিন্ন পরিচয় দিয়ে আন্দোলন ভিন্নপথে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যারা এসব করছেন, তাদের বলি, আমরা যদি আন্দোলন গড়ে তুলি, পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না।
পরিষদ যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ইত্তেফাকে আমাকে জামাত-শিবির পরিচয় দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। যাসম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পুরো প্রতিবেদন মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভরা। এমনকি আমার বাবার নামও ভুল লেখা হয়েছে।
সংগঠনের নেতারা বলেন, আজ (সোমবার) বিকেল পাঁচটার মধ্যে ইত্তেফাক পত্রিকা তাদের প্রতিবেদন প্রত্যাহার না করলে কাল থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পত্রিকা বর্জন করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল্লাহ নূর, ফারুক আহমেদ প্রমুখ।