আজ বৃহস্পতিবার তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন খ্রিস্ট ধর্মের রোমান ক্যাথলিক শাখার প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। তাঁকে দেয়া হচ্ছে ভিভিআইপি (রাষ্ট্রের সবোর্চ্চ) নিরাপত্তা। তাঁর (পোপ) আগমন উপলক্ষে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখতে মহানগর পুলিশ গত ২২ নভেম্বর থেকে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা কার্যক্রম। নিরাপত্তায় এসএসএফ-এর পাশাপাশি পুলিশ ও র্যাব।
তাছড়া ছাড়া সকল ভেন্যু, হোটেল ও বিমানবন্দরকেন্দ্রিক মোতায়েন করা হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তাঁর গমনাগমনকালে পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছড়া স্ট্যান্ডবাই হিসেবে প্রস্তুত হয়েছে সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা। অপরদিকে পোপের সঙ্গে থাকছে অস্ত্রসহ তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সদস্যরা।
বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস বাংলাদেশ বিমানে একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
পোপ ফ্রান্সিসের নিরাপত্তা তদারককারী ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মীর রেজাউল আলম বলেন, পোপ ফ্রান্সিস আগমন উপলক্ষে গত আটদিন আগেই নিরাপত্তা সংক্রান্ত সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কোন রকম অপ্রতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য রাজধানীতে চলছে পুলিশের বিশেষ অভিযান (ব্লক রেইড)। আবাসিক হোটেলসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে চালাচ্ছে পুলিশ।
তিনি বলেন, তিনি ( পোপ) ঢাকায় অবস্থানকালে যেসব ভেন্যুতে যাবেন সেখানে কয়েকদিন আগে থেকেই নিরাপত্তা জোরদারসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। ভেন্যুগুলোর মধ্যে রয়েছে- সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা ও তেজগাঁও চার্চ, নটরডেম কলেজ। এছাড়া তিনি যেখানে অবস্থান করবেন বারিধারাস্থ ভ্যাটিকান দূতবাসসহ আশপাশ এলাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, পোপ ফ্রান্সিস বিমানবন্দরে অবতরণের পরই তাঁর এ নিরাপত্তা কার্যক্রম শুরু হবে।
মীর রেজাউল আলম বলেন, ধর্মগুরু পোপের সঙ্গে আগত বিদেশি অতিথিদের জন্য নির্ধারিত হোটেল, সম্মেলনস্থল প্রত্যেকটি ভেন্যু সুইপিংসহ সিসি ক্যামেরা দিয়ে মনিটরিং করা হবে। আর্চওয়ে স্থাপন এবং পুরুষের পাশাপাশি মহিলা স্বেচ্ছাসেবক থাকবে। আবাসনস্থল ও যাতায়াত রাস্তা নিরাপত্তা ব্যবস্থা, রুফটপ ডিউটি, মোবাইল ডিউটি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, পোপের সফরে দেড় লাখ বিশেষ ধরনের নিরাপত্তা কার্ড তৈরি করা হয়েছে। কার্ডগুলো তৈরি করেছে টাইগার আইটি। ৯ রঙের কার্ড তৈরি করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রবেশ করার সময় এ কার্ড ব্যবহার করতেই হবে। এর বিশেষত্ব হলো, এ কার্ড যিনি বহন করবেন, তার গতিবিধি সহজেই চিহ্নিত করা যাবে। তবে এ কার্ড একবারই কার্যকর থাকবে।