আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় সহায়ক সরকার নয়, আগের মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকারই চায় বিএনপি, বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) এই সভার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় বিএনপি। কারণ সহায়কের প্রধান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি থাকলে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই তত্ত্বাবধায়ক প্রয়োজন।
নির্বাচনকালীন কিছু প্রক্রিয়ার কথা তুলে ধরে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ভোটের ৯০ দিন আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। সেনাবাহিনী নামবে এবং তাদের পূর্ণ ক্ষমতা দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সহায়ক সরকার থাকলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওপর ক্ষমতা প্রয়োগ হবে। এটি জনগণের সঙ্গে প্রতারণা।
শুধু তাই নয়, ইসির মাঠ পর্যায়ে লোক নেই। তারা কাজে লাগাবে প্রশাসনকে। আর প্রশাসন মানেই প্রধানমন্ত্রীর আওতা। এমন হলে সুষ্ঠু ভোট কোনোভাবেই সম্ভব না।
মওদুদ আহমদ বলেন, বিগত দুই বছর কোনো আন্দোলন হয়নি, সামনে নির্বাচন। তত্ত্বাবধায়কের দাবি আদায়ে প্রয়োজনে আবার আন্দোলনে মাঠে নামতে হবে। জনগণও এর অপেক্ষায় আছে।
এ ছাড়াও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মওদুদ বলেন, প্রতিদিনই নতুন করে ক্যাম্পে শিশু জন্ম নিচ্ছে। মানুষও ঢুকছে রোজ। এভাবে সংখ্যা বৃদ্ধি আর সময় যেতে থাকলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নেমে যাবে রোহিঙ্গারা। তাতে উগ্রপন্থিরা দেশে ঢুকবে। জঙ্গিবাদ সৃষ্টি হবে। এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সরকার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যর্থ। রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বাড়ছে, জটিলতাও বেড়ে চলেছে। আগে ভারত, চীন ও রাশিয়ার সমর্থন আদায় করতে হবে। মূলত আমাদের কূটনীতিক ব্যর্থতা আছে।