নির্বাহী সভায় খালেদা জিয়ার চার দফা

0
খালেদা জিয়া

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চারটি দফার কথা উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে- নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতি চলবে না, নির্বাচনে সেনাবা‌হিনী মোতা‌য়েন কর‌তে হ‌বে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে, নির্বাচনের আগে ‘অবৈধ সংসদ’ ভেঙে দিতে হবে।
খালেদা জিয়া
এ সময় নেতাকর্মী‌দের উদ্দেশে বিএনপির চেয়ারপারসন খা‌লেদা জিয়া ব‌লেন, ‘দ‌লের স‌ঙ্গে বেঈমানি কর‌লে একবার ক্ষমা, বারবার নয়। আমি আপনা‌দের স‌ঙ্গে আছি।’ ‘আমা‌কে ভয় দে‌খি‌য়ে কোনো লাভ হ‌বে না, আমি দে‌শের মানু‌ষের স‌ঙ্গে আছি। আসুন সবাই মি‌লে এ দেশটা‌কে আমরা রক্ষা ক‌রি’, যোগ করেন খালেদা জিয়া।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর লা মেরিডিয়েন হোটেলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী সভায় সভাপতির বক্তব্যে দলের চেয়ারপারসন এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়া আজ বেলা ১১টা ৫ মিনিটে লা মেরিডিয়েন হোটেলে এসে পৌঁছালে দলীয় নেতারা তাঁকে স্বাগত জানান। তারপর তাঁকে সভাকক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। মঞ্চে তাঁর পাশে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা রয়েছেন।

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের আগে আজকের এই সভা থেকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে বিএনপির চেয়ারপারসন জরুরিভাবে দলের সর্বোচ্চ ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে আগামী দিনের জন্য কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়নি। দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আভাস পাওয়া গেছে, তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মতামত নিয়েই পরবর্তী সময়ের কর্মসূচি দিতে চান বিএনপির চেয়ারপারসন।

জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভায় কেন্দ্রীয়, জেলা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ প্রায় সাতশ নেতাকর্মীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারকাজ শেষে আদালত আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন ঘোষণা করেছেন। এ মামলায়  খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন—মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

রায়ের দিন ঘোষণার পর থেকেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছেন, যার ফলে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজনৈতিক অঙ্গন। প্রায় প্রতিদিনই বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।