বুধবার সকাল ৭টার দিকে জালিয়াপাড়া এলাকায় নদী থেকে এক নারী ও এক শিশুর লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন। পরে সকাল পৌনে দশটার দিকে নাজিরপাড়া এলাকায় নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় আরও এক নারী ও শিশুর লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সাবরাং ইউনিয়নের নয় নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফজলুল হক আজ সকালে এ কথা জানান। এর আগে গতকাল রাতে তিনি জানান, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটি নৌকা ডুবে যায়। ওই নৌকায় ১৮ জন রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু ছিল। এর মধ্য ৬-৭ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও অন্য ১১ জন নিখোঁজ ছিল। রাতে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয় লোকজন। ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি লোক ওঠায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে বলে জানান বেঁচে ফেরা রোহিঙ্গারা।
আজ সকালে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন খান বলেন, বেশ কয়েকটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ লাশগুলো দাফনের ব্যবস্থা করছে।