পদ্মাবতের পর এবার মনিকর্নিকা নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়ছে

0

তবে কি ‘পদ্মাবতী’র পথে হাঁটতে শুরু করছে ‘মনিকর্ণিকা’? আশংকাটা বড় হয়ে উঠছে সেই রাজস্থানেই, যে রাজ্যে ‘পদ্মাবতে’র উত্তাল ঢেউ এখনো থিতোয়নি।বরাজস্থানের ব্রাক্ষ্মণ সমাজ এবার রাজ্য সরকারকে চিঠি লিখে বলেছে, ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের জীবন নিয়ে তৈরি সিনেমায় ঐতিহাসিক তথ্যের কোনো বিকৃতি যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করা হোক। নিশ্চিত করেই যেন সিনেমার শুটিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়। না হলে ব্রাক্ষ্মণ সমাজ ছবিটির শুটিংয়ে ব্যাঘাত ঘটাবে।
মনিকর্নিকা
চিতোরের রানি পদ্মিনী বা পদ্মাবতী ঐতিহাসিক কোনো চরিত্র ছিলেন কি না তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মনেই দ্বিধা ছিল। কিন্তু ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈ পুরোপুরি ঐতিহাসিক চরিত্র। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের সময় তিনি অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন ইংরেজদের বিরুদ্ধে। তাঁর জীবন নিয়েই তোলা হচ্ছে ‘মনিকর্ণিকা : দ্য কুইন অব ঝাঁসি’ চলচ্চিত্রটি। নাম ভূমিকায় অভিনেত্রী কঙ্গনা রানায়ৌত। রাজস্থানের ‘সর্ব ব্রাক্ষ্মণ মহাসভা’ নামের এক সংগঠন এই চলচ্চিত্রটি নিয়ে সরব হয়েছে। গতকাল সোমবার সংগঠনের সভাপতি সুরেশ মিশ্র বলেছেন, ‘পদ্মাবত’এর মতো বিতর্ক যেন ‘মনিকর্ণিকা’কে নিয়ে তৈরি না হয়। সরকার আগেভাগেই ব্যবস্থা নিক।

গতকাল ব্রাক্ষ্মণ সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে সুরেশ মিশ্র বলেন, তাঁদের কাছে খবর এসেছে, লক্ষ্মীবাঈকে নিয়ে একটা রোমান্টিক গান শুট করা হচ্ছে যেখানে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এক ব্রিটিশ এজেন্টকে দেখা গেছে। লক্ষ্মীবাঈ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছিলেন। এমন কিছু যেন দেখানো না হয় যাতে ইতিহাস বিকৃত হয়, যাতে রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের চরিত্রহানি ঘটে। তিনি বলেন, সিনেমার পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে তিন দিনের মধ্যে এই বিষয়ে সরকারকে নিশ্চিত হতে হবে। নইলে ছবির শুটিং বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই সিনেমা তৈরির আগে কোন কোন ইতিহাসবিদের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছে, সরকারকে সে কথাও জানতে বলা হয়েছে। তাঁরা জানান, এই বিষয়ে রাজ্যপাল কল্যান সিং ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গুলাব চাঁদ কাটারিয়ার সঙ্গে তাঁরা দেখা করবেন। বলবেন, উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে সিনেমার শুটিং বন্ধ করে দিতে তাঁরা বাধ্য হবেন।

‘পদ্মাবত’কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বিতর্ক এখনো অব্যাহত। রাজস্থানের রাজপুত সমাজ এখনো ছবিটি সেই রাজ্যে প্রদর্শনেরর অনুমতি দেয়নি। এই অবস্থায় ‘মনিকর্ণিকা’ নিয়ে অবস্থা উত্তাল হয়ে ওঠার আশংকা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যদিও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলায় আপাতত এই সিনেমার শুটিং চলছে। গত বছর এই রাজ্যের রাজধানী জয়পুরের আমের ও যোধপুরের মহারানগড় দূর্গে সিনেমার শুটিং হয়ে গেছে।