পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পে আবারো অতিরিক্ত ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ছে। ফলে প্রকল্পটিতে আবারো সংশোধন আসছে। প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) সংশোধন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবনায় পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ প্রকল্পের ডিপিপি সংশোধন করে আরো ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার আবদার করেছে।
চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সংশোধিত ডিপিপি আগামী জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে।
ভূমি অধিগ্রহণের জন্য পদ্মাসেতু প্রকল্পে অতিরিক্ত ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা লাগবে বলে জানান পরিকল্পনা সেলের উপ-পরিচালক আবুল হোসেন। যে কারণে প্রকল্পটি সংশোধনের জন্য একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। সামনে যেদিন একনেক সভা হবে সেদিনই প্রকল্পটি সংশোধনের জন্য আমরা তুলবো।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পদ্মাসেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে শুধু ব্যয় বাড়ার প্রস্তাব করা হবে। প্রকল্পে সময় বৃদ্ধির ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আমরা পাইনি।
পুরোদমে পদ্মারসেতুর কাজ এগিয়ে চলছে। সেই সঙ্গে কয়েক দফায় বাড়ানো হয়েছে এর ব্যয়। তৃতীয় দফায় আরো ১ হাজার ৪শ’ কোটি টাকা বাড়ানো হচ্ছে স্বপ্নের এ সেতুর নির্মাণ ব্যয়। এ দফায় ব্যয় বাড়ার ফলে পদ্মাসেতুর ব্যয় দাঁড়াবে সব মিলিয়ে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
সর্বশেষ পদ্মাসেতু প্রকল্পের মূল ব্যয় ছিলো ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। প্রকল্পের মূল ডিপিপি থেকে ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ অতিরিক্ত এ ব্যয় বাড়ছে।
২০০৭ সালে একনেক ১০ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পটি অনুমোদন করেছিল। পরে নকশা পরিবর্তন হয়ে দৈর্ঘ্য বেড়ে যাওয়ায় নির্মাণ ব্যয়ও বেড়ে যায়। ২০১১ সালে ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকার সংশোধিত প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৬ সালে আবারো ৮ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ালে মোট ব্যয় দাঁড়ায় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। সবশেষ আরও