পানির চেয়েও কম দামে বিক্রি হচ্ছে চামড়া

0
পানির চেয়েও কম দামে বিক্রি হচ্ছে চামড়া

ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা উপজেলা সদরসহ ভাবকির মোড়, চেচুয়া বাজার, কুমারগাতা,গাবতলি বাজার, বনবাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কুরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করতে না পেরে,অনেকেই বাড়ির সামনে, রাস্তায় বা ময়লা আবর্জনার স্তূপের ভিতর ফেলে রেখেছেন।

২ লিটার বোতলজাত পানির দাম ৩০ টাকা। সেখানে গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ৩০ টাকায়। 

পাশাপাশি এলাকাগুলোতে চামড়া কেনার জন্য এবার মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীদের তেমন দেখা মেলেনি। বরং বিভিন্ন  মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার লোকজনকে বিনামূল্যে চামড়া সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। অনেকেই আবার চামড়া বিক্রি করতে না পেরে মসজিদ-মাদ্রাসা বা এতিমখানায় দান করেছেন চামড়া।

উপজেলার দোল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হোসেন আলী জানান, এবার চামড়া কেনার জন‍্য কোনো ব্যবসায়ীকে দেখা যাচ্ছে না, দুয়েকজন কিনছে তাও আবার আস্ত গরুর চামড়া ১৫ টাকা ও ছাগল ১০ টাকায়। এমন সিন্ডিকেট আগে কখনো দেখিনি। ফলে এলাকার এতিম ও দুস্থরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 

শাজাহান নামের একজন চামড়া ব্যবসায়ী বলেন, “নির্ধারিত দামে চামড়া কিনব কিভাবে আমরা চামড়া কিনলেও আড়তে বেচতে হচ্ছে অনেক কম দামে। তাছাড়াও এবার করোনা ভাইরাস ও লকডাউনের কারণে চামড়া বেচাকেনা করতে পারব কি না, সেটা এখনও বুঝতে পারছি না। তাই চামড়া কিনে নিয়ে কোনো ভরসা পাচ্ছি না।”

গাবতলি বাজারের মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী আমির হোসেন জানান, “খাসি ছাগলের চামড়া ১৫ টাকা, গরুর চামড়া ৩০-৪০ টাকায় কিনছি। তবে বকরি ছাগলের চামড়া কিনছি না আমি।” ব্যবসায় লোকসান হওয়ার আশঙ্কা থাকায় অনেকেই এবছর চামড়া কিনছেন না বলে জানান এই চামড়া ব‍্যবসায়ী।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মনসুর  জানান, “করোনাভাইরাস ও লকডাউনের অজুহাত দেখিয়ে চামড়া ব্যবসায়ীরা এমনটি করতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব আমরা।”