পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসক-নার্সসহ ২৫ জন করোনায় আক্রান্ত

0
পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসক-নার্সসহ ২৫ জন করোনায় আক্রান্ত

দেশের একমাত্র বিশেষায়িত হাসপাতাল পাবনার হেমায়েতপুরে মানসিক হাসপাতালে ১৬ জন রোগীর দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া ৩ জন চিকিৎসক ও ৭ জন নার্স করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া হাসপাতালে নতুন কোনো রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না।

রবিবার (১৮ জুলাই) রাতে পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আক্রান্ত ১৬ রোগীর মধ্যে ১৪ জনকে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, পাবনার সিভিল সার্জন অফিস থেকে তারা র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন সংগ্রহে রেখেছিলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ঠাণ্ডা-জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন। এর মধ্যে গত ১৬ জুলাই ১৪ জনের করোনা পজেটিভ আসে। এরপর রবিবার আরো দুজনের দেহে করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে।

তিনি আরো বলেন, ১৪ জনকে হাসপাতালের আলাদা স্থানে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। জরুরি প্রয়োজনের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডারও মজুদ রাখা হয়েছে। তবে তাদের শরীরে কোনো জটিল সমস্যা দেখা যায়নি। হাসপাতলে যেহেতু করোনা ওয়ার্ড নেই, তাই তাদের আরো ভালো সেবা-যত্নের জন্য হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয়।

হাসপাতালের পরিচালক জানান, আক্রান্তদের আত্মীয় স্বজনরা এসে ৩ জনকে নিয়ে গেছেন। আর ১১ জনের পরিবারের কেউ না আসায় হাসপাতালের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তাদের বাড়ি পাঠানো হয়। আর রবিবার যে দুইজন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছেন, তারা এখনো হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থায় রয়েছেন। এছাড়া আক্রান্ত ৩জন চিকিৎসক ও ৭জন নার্স হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ডা. মাসুদ রানা সরকার বলেন, ঠাণ্ডা-জ্বরসহ করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখে এ পর্যন্ত মোট ৬৩ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৬ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।

তিনি বলেন, “করোনা প্রাদুর্ভাব শুরুর পর গত ১৭ মাসে মানসিক হাসপাতালের কেউ আক্রান্ত হয়নি। অতি সাবধানতা হিসেবে বাইরের ভিজিটরদেরও ওয়ার্ডে যেতে দেয়া হয়নি। সর্বোচ্চ সতর্কতার পরও তারা এবার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আশার কথা হলো, কোনো রোগীরই শরীরে জটিলতা নেই।”