পাসপোর্ট কর্মকর্তাকে কুপিয়ে জখম, যুবলীগ নেতা সহ চারজন আটক

0
যুবলীগ নেতা

বগুড়ায় পাসপোর্ট অফিসের সহকারি পরিচালক মো. সাহজাহান কবিরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর ঘটনায় স্থানীয় পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মোস্তাকিম রহমানসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার সকালে বগুড়া ও দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা শুক্রবার বিকেলে তার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতার আসামিদের রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
 যুবলীগ নেতা
মোস্তাকিম বগুড়া শহর যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক এবং বগুড়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ওই হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তিনি এক নম্বর আসামি। গ্রেফতার অন্যরা হলো- শহরের সূত্রাপুরের রমজান আলীর ছেলে হাসান আলী, ঠনঠনিয়া হিন্দুপাড়ার আব্দুল কাদেরের ছেলে জীবন ও ঠনঠনিয়া মধ্যপাড়ার মৃত আবু তালেবের ছেলে রাসেল মিয়া।

বৃহস্পতিবার দুপুরে একদল সন্ত্রাসী শহরের কৈগাড়ি এলাকায় বন বিভাগের অফিসের ভেতরে ঢুকে বগুড়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারি পারিচালক সাহজাহান কবিরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। নিজ দপ্তর থেকে বেরিয়ে রিকশাযোগে স্থানীয় বাসস্ট্যাণ্ডে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা ধাওয়া করলে প্রাণ বাঁচাতে তিনি বন বিভাগের অফিসে ঢুকে পড়েছিলেন। গুরুতর আহত ওই কর্মকর্তাকে প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

প্রায় দেড় বছর আগে বগুড়া আঞ্চলিক অফিসে সহকারি পরিচালক হিসেবে যোগ দিয়েই সাহজাহান কবির পাসপোর্ট অফিসকে ‘দালালমুক্ত’ বলে ঘোষণা দেন। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভোগান্তি ছাড়াই দ্রুত পাসপোর্ট পেতে পারেন, সেজন্য নানা উদ্যোগও নেন তিনি। এর পর থেকেই স্থানীয় দালাল চক্র ও সন্ত্রাসীদের টার্গেটে পরিণত হন তিনি।

সহকারি পরিচালকের ওপর হামলার ঘটনায় পাসপোর্ট অফিসের অফিস সহকারী শাজেনুর আলম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ এবং অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে শাজাহানপুর থানায় মামলা করেন।

বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা জানান, প্রধান অভিযুক্ত মোস্তাকিম সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দিনাজপুর পুলিশের সহযোগিতায় শুক্রবার সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মোস্তাকিমের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি এবং মারপিটের আরও ৪টি মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।