রুপা আকতারের কয়েকদিন যাবৎ ছিল পেটে ব্যথা। এ নিয়ে কয়েকদিন আগে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে মেয়েকে ভর্তি করিয়েছিলেন সদর উপজেলার বারুহাস গ্রামের নাসিমা বেগম। পরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে গাড়ির অভাবে ফিরতে না পারায় পুলিশের গাড়ি করে নিরাপদে ঘরে পৌছালেন তিনি।
ঘটনাটি নাটোর শহরের খানাইখালী এলাকার। পুরোপুরি সুস্থ না হলেও রুপাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু লকডাউনের কারণে বাড়ি যাওয়ার জন্য রাস্তায় ছিলো না কোনো গাড়ি। অগত্যা হেঁটে বাস টার্মিনালের উদ্দেশ্যে রওনা হন অসুস্থ রুপা আকতার, মা নাসিমা বেগম এবং দাদি নাজমা বেগম।
হাসপাতাল থেকে হেঁটেই শহরের কানাইখালী এলাকায় আসলে একটি পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। সেখানে থাকা একজন পুলিশ সদস্যকে ভয়ে ভয়েই অনুরোধ করলেন তাদের যদি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয় তাহলে খুব উপকার হয়।
সে সময় একই জায়গায় ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার জামিল আকতার। তাকে গিয়ে একজন পুলিশ সদস্য মহিলার কথা জানাতেই তিনি রাজি হয়ে গেলেন। এরপর মা, মেয়ে ও দাদিকে নিয়ে রওনা হলেন তাঁদের বাড়ির উদ্দেশ্যে। এরপর তাদের নিরাপদে পুলিশের গাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেন তিনি।
অসুস্থ রুপা আকতার বলেন, গাড়ি না পাওয়ার শুরুতে হতাশ হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম বাড়িই পৌঁছাতে পারব না। পরে পুলিশ অফিসারকে বলতেই তিনি বাড়িতে পৌঁছে দেন। কখনও ভাবিনি পুলিশ আমাদের বাড়ি পৌঁছে দেবে। এসময় তিনি পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সহকারী পুলিশ সুপার (সিংড়া সার্কেল) জামিল আকতার বলেন, পুলিশ সব সময় সাধারণ জনগণের বন্ধু হয়ে পাশে রয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় লকডাউনে কোনো যানবাহন না পাওয়ার কারণে অসুস্থ রুপা আকতারসহ তার মা এবং দাদিকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, জনগণের সেবক জনগণের জন্যই কাজ করি। আমাদের প্রতি অনেকের যে অনেক ভুল ধারণা কাজ করে সেগুলো আমাদের জন্য পীড়াদায়ক। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিভিন্ন মানবিক কাজে জনগণের পাশে রয়েছি। এটি অব্যাহত থাকবে।