স্বাধীনবাংলা বেতারের কালজয়ী গানের সুরকার প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক খাদেমুল ইসলাম বসুনিয়া আর নেই। বুধবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি।
তিনি বাংলাদেশ বেতারের সংগীত প্রযোজক ছিলেন। গুণী এই সংগীত শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার মরদেহ আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে নিয়ে আসা হয়। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাদ জোহর নগরীর গুপ্তপাড়াস্থ জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজার পর নূরপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
রংপুরের সাহিত্য ও সংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ খাদেমুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক প্রকাশসহ তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
১৯৬৭ সালে ২৫ ডিসেম্বর রংপুর বেতার কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়। ওইদিন খাদেমুল ইসলাম বসুনিয়া প্রথম সংগীত পরিচালক হিসেবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংগীত পরিচালনা করেন। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় তিনি অসংখ্য জনপ্রিয় গানের সুর করেছেন।
সৃষ্টি করেছেন অনেক শুদ্ধ সংগীত শিল্পী। তিনি বেতারের প্রিন্সিপ্যাল সংগীত প্রযোজক হিসেবে ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে মুখ্য সংগীত প্রযোজক হিসেবে ঢাকা বেতারে ১৯৯৩ সাল থেকে ৯৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সব ধরনের সুর সৃষ্টি করে দেশের সংগীত ভাণ্ডারকে করেছেন সমৃদ্ধ।
খাদেমুল ইসলাম বসুনিয়া কবি শামসুর রাহমানের কবিতা ‘দাউ দাউ পুড়ে যাচ্ছে’ কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাাহর ‘কুমড়ো ফুলে ফুলে’ কবি মাহফুজুল্লাহর ‘শহীদদের স্মৃতি জলে’ ও ‘বাংলাদেশের যত নদী’সহ অসংখ্য কবিতায় সুর দিয়েছেন।