প্রধানমন্ত্রী হত্যাচেষ্টা মামলা: ২০ বছর করে ১১ সদস্যর কারাদণ্ড

0
প্রধানমন্ত্রী হত্যাচেষ্টা মামলা

ঘটনার ২৮ বছর পর আজ রবিবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জাহিদুল কবির ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত বিশেষ এজলাসে ফ্রিডম পার্টির ১১ কর্মীকে ২০ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী হত্যাচেষ্টা মামলা

উক্ত রায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো গোলাম সারোয়ার ওরফে মামুন, জজ মিয়া, ফ্রিডম সোহেল, সৈয়দ নাজমুল মাকসুদ মুরাদ, গাজী ইমাম হোসেন, খন্দকার আমিরুল ইসলাম কাজল, মিজানুর রহমান, মো. শাহজাহান বালু, লে. কর্নেল (অব.) আবদুর রশিদ, জাফর আহমেদ ও এইচ কবির ওরফে হুমায়ুন কবির। খালাসপ্রাপ্ত আসামির নাম হুমায়ুন কবির।

আসামিদের মধ্যে প্রথম চারজন কারাগারে, শেষের তিনজন পলাতক এবং অপর আসামিরা জামিনে রয়েছেন। দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় হুমায়ুন কবির ওরফে কবীরকে খালাস দিয়েছে আদালত।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিদেও মধ্যে লে. কর্নেল (অব.) আবদুর রশিদ, এইচ কবির ওরফে হুমায়ুন কবির ও জাফর আহমেদ ওরফে মানিক পলাতক। তারা গ্রেপ্তার হওয়ার পর অথবা আত্মসমর্পণের পর সাজা কার্যকর করা হবে।

আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।  জরিমানার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে প্রত্যেককে আরো ছয় মাস করে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

আদালত রায়ে বলেন, ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হলো।

একজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হলো।

গত ১৫ অক্টোবর এই মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হওয়ার পর রায় ঘোষণার জন্য আজ তারিখ ধার্য করেন আদালত। আজ সকালেই কারাগারে থাকা আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। দুপুরে রায় ঘোষণা করা হয়।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্যরাতে শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাসভবনে ফ্রিডম পার্টির সদস্য কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি দল গুলি ও গ্রেনেড হামলা চালায়। শেখ হাসিনা তখন বাসায় ছিলেন। ফ্রিডম পার্টি ও উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দেও নির্দেশে ষে হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়।

এই হামলায় বাড়ির দেয়াল ও জানালার কাচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিরাপত্তাকর্মীও আহত হন। হামলাকারীরা ‘কর্নেল ফারুক-রশীদ জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিতে দিতে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ওই বাড়িতে নিরাপত্তার দায়িত্বে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ধানমণ্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন। ১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় ১২ আসামির বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০০৯ সালের ৫ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি সাইফুল ইসলাম হেলাল।

উল্লেখ্য, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় আজ দুপুরের পর রায় ঘোষণা করা হবে। একই আদালতে বিচারাধীন হলেও ওই মামলার বিচারকাজ চলছে মহানগর দায়রা জজ আদালত ভবনে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে