রংপুরের বদরগঞ্জে বিয়ের দিন ছুরিকাঘাতে মাদরাসাছাত্রী তারমিনা বেগম ফুলতি (১৪) হত্যা মামলার আসামি শাখাওয়াত হোসেনকে (১৮) আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (২ আগস্ট) দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে তাকে আটক করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সে আত্মগোপনে ছিল।
বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে রংপুর জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল কালিয়াকৈর এলাকার অভিযান চালায়। সেখান থেকে ফুলতি হত্যা মামলার আসামি শাখাওয়াত হোসেনকে আটক করা হয়।
সূত্র হতে জানা গেছে, গত ২৮ জুলাই প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় মাদরাসাছাত্রী ফুলতিকে ছুরিকাঘাত করে শাখাওয়াত হোসেন। ঘটনার পাঁচ দিন পর রবিবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক শাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে প্রথমে হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়। কিন্তু ফুলতির মৃত্যুর পর ওই মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বড় বোনের শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়তার সূত্র ধরে তারমিনা বেগম ফুলতির সঙ্গে শাখাওয়াত হোসেনের পরিচয়। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল ওই যুবক। কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি ফুলতি। গত ২৮ জুলাই বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয় তারমিনার। ওইদিন বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করার কথা ছিল।
বিয়ের সংবাদ জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার ভোরে পার্শ্ববর্তী মিঠাপুকুর থেকে উপজেলা থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে বদরগঞ্জে ফুলতিদের বাড়ি আসেন শাখাওয়াত। ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে ঘরের দরজার সামনেই ফুলতিকে ছুরিকাঘাত করেন।
এসময় ফুলতি চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে শাখাওয়াতকে ধাওয়া দিলে সে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় রবিবার সকালে মারা যায় ফুলতি। পরে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ বদরগঞ্জের লোহানীপাড়া ইউনিয়নের সাজানো গ্রামে তাকে দাফন করা হয়।