ফাইনালে দুঃশ্চিন্তার জায়গা বোলিং!

0

খেলায় জিতলেই চড়তে থাকে প্রত্যাশার পারদ আর আড়ালে চলে যায় ভুলগুলো। শ্রীলংকার সাথে পরপর দুটি ম্যাচ চরম উত্তেজনার শেষে জয়ী হলেও কিছু ব্যাপার নজর এড়িয়ে যাবার সুযোগ নেই।

টুর্নামেন্টের প্রতিটি ম্যাচেই শেষ ১০ ওভারে বোলিং পারফর্মেন্স ছিল হতাশাজনক। শেষ ম্যাচের প্রথম ১০ ওভারে ৫৩ রানের পর শেষ ১০ ওভারে গুনতে হয় ১০৬ রান (পুরো ২ গুন) যেখানে লংকানদের ৫ ব্যাটসম্যান ছিল সাজঘরে। ভারতের সাথে প্রথম ম্যাচ (যেটাতে আগে ব্যাটিং করেছে এবং টার্গেট কম ছিল) ছাড়া সব কটি ম্যাচেই শেষ ১০ ওভারের বোলিং পারফর্মেন্সে হয় ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছে নয়তো জয় খুব কঠিন হয়েছে। নিচের ছবিতে নিদাহাস ট্রফিতে বিভিন্ন ম্যাচে বাংলাদেশি বোলারদের প্রথম ১০ ওভার ও শেষ ১০ ওভারে রান খরচের তুলনামূলক চিত্র দেখানো হয়েছে।

নিদাহাস ট্রফি
                              নিদাহাস ট্রফিতে বিভিন্ন ম্যাচে বাংলাদেশি বোলারদের রান খরচের তুলনামূলক চিত্র

তুলনামূলক শক্তির বিচারে এই টুর্নামেন্টে ভারতীয় বোলারদের শ্রীলংকানদের চেয়ে এগিয়ে রাখা যায়। যার প্রমান ভারতের বিপক্ষে দুটি ম্যাচেই ব্যাটসম্যানদের উইকেট হারিয়ে ম্যাচ খুইয়ে বসায়।

আবার শেষ ম্যাচটি ছাড়া বাকি ৩টি ম্যাচেই প্রথম ১০ ওভারে আমাদের বোলাররা উইকেট নিতে পেরেছেন যথাক্রমে ২, ১ ও ১ টি করে। এটিও পরের ১০ ওভারে রান আটকাতে না পারার অন্যতম কারন।

ফাইনাল ম্যাচে প্রথম ১০ ওভারে রান আটকে রাখার পাশাপাশি উইকেট নেয়া এবং পরের ১০ ওভারেও ভাল বোলিং করে রান আটকে রাখতে না পারলে প্রত্যাশার মাত্রা কমিয়ে রাখাই শ্রেয়। কথাগুলো অপ্রিয় হলেও সত্য।

লেখকঃ জাহেদ হোসেন