বঙ্গোপসাগরে এখনো নিখোঁজ রয়েছে প্রায় ২৫টি ট্রলার

0
বঙ্গোপসাগরে এখনো নিখোঁজ রয়েছে প্রায় ২৫টি ট্রলার

বঙ্গোপসাগরে ৯ জেলেসহ আরো ২টি ফিশিং ট্রলার ডুবে যাওযার খবর পাওয়া গিয়েছে। বৈরী আবহাওয়ায় নিখোঁজ শরণখোলাসহ উপকুলীয় এলাকার ১০/১২টি ট্রলার ফিরে এলেও এখনো ২০/২৫টি ট্রলারসহ সাগরে তলিয়ে যাওয়া এফবি তারেক ট্রলারের জেলে আমির হোসেনের হদিস মেলেনি। এসব ঘটনায় নিখোঁজ জেলেদের পরিবারে উদ্বেগ বেড়েই চলছে। প্রচণ্ড ঢেউয়ের কারণে সাগরে কোষ্টগার্ডের উদ্ধার অভিযান ব্যহত হচ্ছে।

মৎস্য ব্যবসায়ী কবির আড়ৎদার জানান, তার মালিকানাধীন এফবি খাইরুল ইসলাম ও একই গ্রামের কামাল মিয়ার এফবি আল্লা মালিক ফিশিং ট্রলারের কোনো সন্ধান তারা পাওয়া যাচ্ছে না।

মোবাইল ফোনে বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দুলাল মাস্টার জানান, শনিবার সাগরে নিখোঁজ ৩৫টি ট্রলারে মধ্যে ১০/১২টি ফিরে এসেছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে প্রায় ২৫টি ট্রলার। তাদের স্বজনরা সকাল থেকে মৎস্য ঘাটে এসে ভিড় করছে। কোন ট্রলার ফিরে এলেই সেখানে তারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে স্বজনদের দেখা পাওয়ার আশায়।

ফেয়ারবয়া এলাকায় একইদিনে পানিতে ডুবে যাওয়া এফবি তারেক ট্রলারে জেলে আমির হোসেনের কোন সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি।

এইদিকে সাধারণ সম্পাদক দুলাল মাস্টার আরো জানান, শনিবার সকালে আরো ২টি ফিশিং ট্রলার ডুবে যাওয়ার খবর তিনি জানিয়েছেন। ট্রলার দুটির ৩৫ জেলের মধ্যে ৯ জেলে এখনো নিখোঁজ। এ দুুটি ট্রলার হচ্ছে বরগুনার গুলিশাখালী এলাকার কামাল দফাদারের মালিকানাধীন এফবি ভাই ভাই ও বরগুনা সদরের আশুতোষ বাবুর এফবি অর্ক।

মুঠোফোনে কোস্টগার্ডের মোংলা জোনের অপারেশন কমান্ডার লেফটেনেন্ট আব্দুল্লাহ্ আল মাহমুদ জানান, খবর পেয়ে তাদের জাহাজ সিজিএস মুনসুর আলী ও সিজিএস তামজিদসহ দুটি ট্রলার সাগরে জেলেদের খোঁজ-খবরে টহলে রয়েছে। প্রচণ্ড ঢেউয়ের কারণে তাদের উদ্ধার কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। রবিবার পাথরঘাটার ৫ টি ট্রলার ফিরে এসেছে। জাহাজ মনসুর আলী ফিরে এলে সোমবার জাহাজ সিজিএস কামরুজ্জামানকে সাগরে পাঠানো হবে।