বাংলাদেশ দলকেই নিষিদ্ধ করা উচিত ছিলঃ হরভজন সিং

0
হরভজন সিং

নিদাহাস টি-টুয়েন্টি সিরিজ শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু এই সিরিজের রেশ কি সহজে কাটবে? দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিরিজটা তো দীর্ঘ দিন মনে রাখবেন সবাই। তবে এই সিরিজের বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে লিগ পর্বের ম্যাচে ঘটেছিল কিছু বিতর্কিত ঘটনা। লঙ্কান খেলোয়াড়দের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের লেগে যাওয়া, আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সাকিব আল হাসানের ব্যাটসম্যানদের খেলা ছেড়ে চলে আসার কথা বলা।
হরভজন সিং
ঘটনাগুলো ছিল ক্রিকেট বিশ্বে আলোড়ন ফেলা। যা নিয়ে ব্যক্তিগত অভিমতের শেষ নেই কারো। ভারতীয় মিডিয়া তো বাংলাদেশকে ‘বেয়াদব’, ‘গুণ্ডা’ বলতে ছাড়েনি। সাবেক ক্রিকেটার বা বিশেষজ্ঞদেরও মতামতের শেষ নেই। ভারতীয় জাতীয় দলের সাবেক স্পিনার হরভজন সিং বলছেন, বাংলাদেশ দলকেই নাকি নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল।

হরভজন সিং যখন মাঠের শৃংখলা নিয়ে কথা বলেন, তখন সেটা হাস্যকরই লাগে। খেলার মাঠে সতীর্থকে চড় মারা, বর্ণবাদী মন্তব্য করার মতো ঘটনা নিজে ঘটিয়েছেন।

হারভজন তাই বাংলাদেশকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শুরুটা করেন এভাবে, ‘এ রকম বেশ কিছু ঘটনায় আমি নিজে জড়িত ছিলাম। তারপরও আমি এই বিষয়ে কথা বলছি। আপনি যখন অতিতে ফিরে যাবেন, তখন এই সব ঘটনার জন্য লজ্জিত হবেন। ক্রিকেটের জন্য এগুলো দুঃখজনক ব্যপার। বাংলাদেশ ক্রিকেট অনেক দর্শক হারিয়েছে।’

১৬০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শেষ ওভারে সেদিন ১২ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। ইসুরু উদানা প্রথম বলটিই দেন বাউন্সার। পরের বলেও উদানা বাউন্সার দেন। কিন্তু আম্পায়াররা সেটি ‘নো’ বল দেননি। যা নিয়েই বিতর্কের শুরু।

হরভজনের অভিমত, ‘যেটা তারা করেছে সেটা অবশ্যই তাদের করা উচিত হয়নি। তারা কোনো কিছু ভাঙতে পারেনা। আম্পায়ারিংয়ে কিছু ভুল হতে পারে, কিন্তু ক্রিকেটে সেটা হতে পারে। আপনি তখন খেলোয়াড়দের বাইরে চলে আসতে বলতে পারেন না। উদযাপনের সময় আপনি জানালা ভাঙতে পারেন না।’

এরপর শাস্তি নিয়ে হরভজনের দাবি, ‘ক্রিস ব্রডের আরো কঠোর হওয়া উচিত ছিল। আমি বিস্মিত তাদের ম্যাচ ফির মাত্র ২৫ শতাংশ জরিমানা হওয়ায়। আমি মনেকরি তাদের অন্তত কয়েক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল। পুরো দলকেই নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল।’