বাংলা চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগের তারকা সুপ্রিয়া দেবীর শেষকৃত্য সম্পন্ন

0
শেষকৃত্য

বাংলা চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগের তারকা সুপ্রিয়া দেবীর শেষকৃত্য শুক্রবার রাতে কলকাতায় সম্পন্ন হয়েছে। কলকাতার কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। বেলা সাড়ে তিনটায় কলকাতার বিশিষ্টজনদের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সুপ্রিয়া দেবীর মরদেহ রাখা হয় রবীন্দ্র সদনে। সেখানে চলচ্চিত্র অঙ্গনের তারকারা তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ টালিউডের বহু তারকা।
শেষকৃত্য
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় তাঁর মরদেহ নিয়ে শোকযাত্রা শুরু হয়। শোকযাত্রা শেষ হয় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে গিয়ে। শোকযাত্রায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, চিত্রতারকা প্রসেনজিৎসহ টালিউডের তারকা শিল্পী, রাজ্যের মন্ত্রী, কলকাতার মেয়রসহ বিশিষ্টজনেরা।

শোকযাত্রা শেষে সুপ্রিয়া দেবীর মরদেহ কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তৈরি একটি সাদা বেদিতে। এরপর এখানে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সুপ্রিয়া দেবীকে গান স্যালুটের মাধ্যমে শেষ বিদায় জানানো হয়। বিউগলে বেজে উঠে করুণ সুর। রাষ্ট্রীয় সম্মানের পর তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় মহাশ্মশানের ভেতরে শেষকৃত্য সম্পন্নের জন্য।

শুক্রবার ভোর ৬টা ২০ মিনিটের দিকে দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের নিজ বাসভবনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সুপ্রিয়া দেবী। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। ১৯৩৫ সালের ৮ জানুয়ারি তাঁর জন্ম মিয়ানমারে। আদিবাস ছিল বাংলাদেশের ফরিদপুরে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। ২০১১ সালে ‘বঙ্গবিভূষণ’ এবং ২০১৪ সালে ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় তাঁকে।

সুপ্রিয়া দেবী ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগের এক নায়িকা। মহানায়ক উত্তম কুমারের হাত ধরে চলচ্চিত্রে আগমন। ১৯৫২ সালে নির্মল দের পরিচালিত উত্তম কুমারের সঙ্গে ‘বসুপরিবার’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। ‘সোনার হরিণ’, ‘শুন বরনারী’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘উত্তরায়ণ’, ‘সূর্যশিখা’, ‘সবরমতী’, ‘মন নিয়ে’ ‘বিলম্বিত লয়’, ‘জীবন জিজ্ঞাসা’র মতো আরও অনেক ছবিতে উত্তম কুমারের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি। গত শতকের ষাটের দশকের শেষ দিক থেকে সত্তর দশকে বেশির ভাগ ছবিতে তিনি উত্তম কুমারের নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ৪৫টির বেশি ছবিতে তিনি অভিনয় করেন। অভিনয় করেছেন হিন্দি ছবিতেও।