এবার থার্টি ফাস্ট নাইটে নিরাপত্তার স্বার্থে উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না। সেই সাথে যদি কেউ ইনডোরে বা চার দেয়ালের মাঝে অনুষ্ঠান করতে চান তাহলে অবশ্যই পুলিশের নিকট হতে পূর্বেই অনুমতি নিতে হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অনুমতি নিলে অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
আজ শনিবার ৩০ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১ টায় থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার বলেন, থার্টি ফাস্ট নাইটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্মধারী ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্য শহরের বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করবে। সেই সাথে সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল টিমের সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েনসহ ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে স্ট্যান্ডবাই থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানস্থলে ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলশান ও বনানী এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফায়ার টেন্ডার ও এ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন রাখা হবে।
তিনি আরও বলেন, ইংরেজি নববর্ষকে স্বাগত জানাতে বিশ্বের সাথে তালমিলিয়ে আমাদের দেশের নগরবাসী স্বতঃস্ফুর্তভাবে থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন করেন। পূর্ববর্তী বত্সরগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা যায়, এ আনন্দ উত্সব উদ্যাপনের নামে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি নিজস্ব সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে থাকে। কতিপয় ব্যক্তি আনন্দের আতিশয্যে পট্কাবাজি, আতশবাজি, অশোভন আচরণ, বেপরোয়া গাড়ি ও মোটর সাইকেল চালানোর মাধ্যমে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা/দূর্ঘটনা ঘটিয়ে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটায়। ক্ষেত্র বিশেষে প্রকাশ্যে অভদ্রজনোচিত আপত্তিকর আচরণ করে থাকে। এ সকল নৈতিক মূল্যবোধ পরিপন্থী কর্মকান্ড একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে, অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা সৃষ্টি করে।
সূত্র: ডিএমপি নিউজ