লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহতদের মরদেহ ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিহতের পরিবার বুড়িমারী স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্ট বিজিবি চেকপোস্টের পাশে অবস্থান নেন। এর আগে বেলা ২টার দিকে ৩০ মিনিট বুড়িমারী স্থলবন্দর বিজিবি চেকপোস্ট অবরোধ করেন স্থানীয়রা।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, “নিহতদের আত্মীয়-স্বজন বুড়িমারী স্থলবন্দর বিজিবি চেকপোস্ট অবরোধ করে অবস্থান নিয়েছিলেন। খবর পেয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দর ফাঁড়ির পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তারা না সরলে পরে আমিসহ অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের হটিয়ে দেই।”
নিহত ইউনুস আলীর বাবা বুলবুল ইসলাম বলেন, “আমি বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাতসহ বুড়িমারী বিজিবি কোম্পানি কমান্ডারের কাছে ছেলের লাশ ফিরে পেতে রবিবার আবেদন দিতে যাই। সোমবার আবেদন নিলেও লাশ পাবো কিনা এখনো জানিনা।”
বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত বলেন, “আমরা বিজিবি ক্যাম্পে গিয়ে কথা বলেছি। শুনেছি বিএসএফ লাশ ময়নাতদন্ত করেছে। মরদেহ পাওয়া যাবে কী না বলতে পারছি না।”
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ৬১ (বিজিবি) বুড়িমারী কোম্পানি কমান্ডার বেলাল হোসেন বলেন, মৃতদেহ ফেরতের জন্য নিহতদের স্বজনরা বুড়িমারী স্থলবন্দর বিজিবি চেকপোস্ট কিছু সময় অবরোধ করেছিলেন। গুলিতে দুইজন বাংলাদেশি নিহতের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত রবিবার পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে ইউনুছ আলী (৩২) ও রায় সাগর (৩৫) নিহত হয়েছেন।