বিক্ষোভের মুখে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

0
সার্জিয়ানের পদত্যাগ

টানা কয়েক দিনের বিক্ষোভের পর আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী সের্জ সার্জিয়ান সোমবার পদত্যাগ করেছেন। টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি থাকার পর ১৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী হন সার্জিয়ান। এরপর অবৈধ ক্ষমতা দখলের অভিযোগে তার পদত্যাগ দাবিতে রাজধানী ইয়েরেভানের মানুষ রাজপথে নেমে আসে।

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সদস্য দেশটিতে সার্জিয়ান আগে দুইবার পাঁচ বছর মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমতায় ছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি প্রথমবার নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসেন। এমাসের মাঝামাঝিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি দেশটির রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আর্মেনিয়ার পুলিশ ২১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সার্জিয়ানের দায়িত্ব গ্রহণের প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে বিরোধীদলীয় এক সমর্থককে আটক করে।

এরপর বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য নিকোল পাশিনিয়ানকে গ্রেফতার করা হলেও সার্জিয়ানের পদত্যাগের ঠিক আগে আগে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়
রাষ্ট্রীয় ওয়েবসাইট আরমেনপ্রেসে একটি বিবৃতি দিয়ে সার্জিয়ান বলেন, ‘নিকোল পাশিনিয়ানই ঠিক, আমি ভুল।’

‘এই অবস্থার কয়েকটি সমাধান আছে, কিন্তু তার কোনোটিই করব না। আমি দেশের নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছি। আমি আপনাদের দাবি মেনে নিচ্ছি। দেশে শান্তি, ঐক্য ও যৌক্তিকতা বিরাজ করুক’ যোগ করেন তিনি। রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার আট দিন পর সার্জিয়ান ১৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার পছন্দের আরমেন সার্জিয়ান এপ্রিলের ৯ তারিখে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

২০১৫ সালে সার্জিয়ান সংবিধান সংশোধন করে প্রধানমন্ত্রীর হাতে রাষ্ট্রপতির চেয়ে অধিক ক্ষমতা ন্যাস্ত করেন। এর ফলে দেশটিতে স্বৈরশাসন শুরু হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। সার্জিয়ান আগে বলেছিলেন তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করবেন না। সার্জিয়ানের পদত্যাগে সামাজিক মাধ্যমে উল্লসিত জনতা বিভিন্ন ছবি পোস্ট করে।

৬৩ বছর বয়সী সার্জিয়ান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএন।