ভাইয়ের বিয়ে ভেঙে দেয়ার অভিযোগ তুলে দুই ভাতিজা মিলে চাচা হাতেম আলীকে (৫৪) মারধর করেন। এতে রবিবার রাত ৯টার দিকে গুরুতর আহত হওয়ার পর সোমবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।পাবনার বেড়া উপজেলায় পৌর সদরের বাঙ্গাবাড়িয়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র হতে জানা যায়, বাঙ্গাবাড়িয়া গ্রামের বাতেন প্রামাণিকের ছেলে সজিবের বিয়ে ঠিক হওয়ার পর কনে পক্ষ বিয়ে ভেঙে দেয়। এতে তারা চাচা হাতেম আলী ষড়যন্ত্র করেছে বলে সন্দেহ করেন।
এ নিয়ে রবিবার রাতে তারা ঘরোয়া বৈঠকে বসেন। কথাবার্তার একপর্যায়ে সজিবের চাচাকে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার জন্য দোষারোপ করা হয়। এ অভিযোগ হাতেম আলী অস্বীকার করলে তাদের মধ্যে আরেক দফা বচসা লাগে। একপর্যায়ে সজিবের ভাই সাকিল এবং সুরুজ ক্ষিপ্ত হয়ে চাচাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই রাতেই তাকে পাবনা থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ সুরুজ এবং সাকিলকে গ্রেফতার করেছে।
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সজিবের দুই ভাই সাকিল এবং সুরুজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।”