শুক্রবার কুষ্টিয়ায় শ্যালিকাকে (১৪) জোরপূর্বক বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই ভিডিও ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় আব্দুর রাজ্জাক (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে কুমারখালী উপজেলার একটি বাড়ি আটক করেছে পুলিশ।
আব্দুর রাজ্জাক উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের বাগবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর সাত্তারের ছেলে।
ধর্ষিতার পরিবার সূত্রে জানা যায়, আট বছর আগে ওই কিশোরীর বড় বোনের সঙ্গে আব্দুর রাজ্জাকের বিয়ে হয়। ওই দম্পতির চার বছরের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। তবে বনিবনা না হওয়ায় গত ২৩ জুন রাজ্জাককে তালাক দেন তার স্ত্রী। কিন্তু স্ত্রীর দেওয়া তালাক মেনে নিতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ৮ জুলাই সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া শ্যালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে আত্মগোপন চলে যান রাজ্জাক। পরবর্তীতে মেয়েকে অনেক খোঁজাখুজি করেও কোথায় না পেয়ে কুমারখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেন ওই ছাত্রীর মা।
পরে জিডির সূত্র ধরে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার অভিযান চালাতে থাকে থানা-পুলিশ। এরপর বুধবার আব্দুর রাজ্জাক তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে শ্যালিকার তিন মিনিটের এক নগ্ন ভিডিও প্রচার করলে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার একটি ভাড়া বাসা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার ও রাজ্জাককে আটক করে পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা জানান, রাজ্জাক মাদকসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় গত ২৩ জুন তার বড় মেয়ে তাকে তালাক দেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে গত ৮ জুলাই ছোট মেয়েকে তুলে নিয়ে আত্মগোপন করে জোরপূর্বক তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন এবং ভিডিও ধারণ করে সেই নগ্ন ভিডিও ফেসবুকে প্রচার করেন। তিনি এ নোংরা কাজের জন্যে আব্দুর রাজ্জাকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।