ভালসারটান ওষুধ যাতে বাজার থেকে প্রত্যাহার করা হয় তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এই ওষুধ আর যেন তৈরি করা না হয় সে ব্যাপারে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে আজ রবিবার বিকালে জরুরি বৈঠক করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
স্বৈঠকে ভালসারটান ওষুধের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে বিশেষজ্ঞ প্যানেল করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্টেশন (এফডিএ) যুক্তরাষ্ট্রের এই ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থায় রিপোর্টে উঠে এসেছে যে, ভালসারটান ওষুধ সেবনে লিভার, ফুসফুস ও স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এটি নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ওষুধটি উৎপাদনে কোন দেশের কাঁচামাল ব্যবহার করছে, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর সেই বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানানো হয়েছে।
এই দিকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আফজালুর রহমান প্রথমে সিএনএন’র একটি প্রতিবেদনে ভালসারটানের ক্ষতিকর প্রভাব জানতে পারেন। তখন থেকে ডা. আফজালুর রহমান এ ওষুধ তৈরির র-মেটারিয়ালসের সোর্স সম্পর্কে ওষুধ কোম্পানিগুলোর কাছে জানতে চান। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন ওষুধ কোম্পানি এটি সম্পর্কে তাকে কিছুই জানায়নি। ভালসারটান ওষুধটি বাংলাদেশের বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি বিভিন্ন নামে বাজারজাত করে থাকে।
এই ওষুধের নোভারটিস কোম্পানি কারো কাছে কাঁচামাল বিক্রি করে না। সুইজারল্যান্ডের এই কোম্পানির বাইরে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের অধিকাংশ নামীদামী কোম্পানি ভালসারটান ওষুধটি তৈরি করেছে। বাংলাদেশের অনেক নামীদামী কোম্পানি ভালসারটান ওষুধটি তৈরি করে বাজারজাত করেছে।
এ ওষুধের নাম ডায়োভান, কো-ডায়োভান, এক্সফোর্জ, এনট্রেসটো। ইনসেপ্টার ভালসারটিল, ভালসারটিল প্লাস, অ্যামলোসারটান, হেলথ কেয়ারের ডায়োসিস, কো ডায়োসিস, ডায়োসিস প্লাস, এরিস্টোফার্মার অ্যারোভান, ড্রাগ ইন্টারন্যাশনালের কার্ডিভাল-এভি, পপুলারের অ্যামলোভান-ভিএস, স্কয়ারের ক্যামোভাল, রেনেটার ভালজাইড, ওরিয়নের ভালসেট এবং জেনারেল ফার্মার আরনিজেন।