ভালো ফটোগ্রাফি করবেন যেভাবে

0
ভালো ফটোগ্রাফি করবেন যেভাবে

পড়াশোনা শেষ করার কিংবা পড়াশোনার পাশাপাশি সৃজনশীল কাজের প্রতি ক্রমশ ঝুঁকছে বর্তমান সময়ের তরুণরা। সৃজনশীল দক্ষতার সাথে তাল মিলিয়ে বর্তমানে যোগ দিচ্ছেন নানান ভিন্ন পেশায়। এ রকমই একটি পেশা আলোকচিত্রী। আগের যুগের মতো এখন আর ছবি তোলার জন্য যেমন স্টুডিওতে যেতে হয় না, তেমনি ক্যামেরাতেও দিতে হয় না ফিল্ম। ক্যামেরা এখন সবার হাতে হাতে, কখনো তা মুঠোফোনের সঙ্গে যুক্ত, কখনো বা আলাদা। দেশের অধিকাংশ তরুণদের আগ্রহের বিষয়ের অন্যতম এই আলোকচিত্রী জগতে প্রবেশ করলেও অনেকেই পাচ্ছেনা না সঠিক নির্দেশনা। সঠিক নির্দেশনার অভাবে অনেকেই এগোচ্ছে ভুল রাস্তার পথে। নতুন যারা এই জগতে নিজেদের মেলে ধরতে চায় তাদের জন্য আজকের এই লেখা।

ভালো ফটোগ্রাফি করবেন যেভাবে

জানতে হবে অনেক:

আলোকচিত্রী বলতে অনেকের সাধারণ একটি ধারণা হলো ক্যামেরা হাতে ছবি তোলা। ব্যাপারটি নিছকই তা নয়। প্রতিটি ছবির পেছনে কাজ করে অসংখ্য কৌশল, আর এসব কৌশল নিজের মধ্যে আনতেই জানাটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা সকলেই কোন না কোন পেশার সাথে যুক্ত। প্রত্যেকটি পেশাতেই পরিপূর্ণতা লাভের জন্য শিক্ষার বিকল্প নেই। শিক্ষা ছাড়া কোনো কাজেই পরিপূর্ণতা লাভ করা সম্ভব নয়। আলোকচিত্রীও এমন একটি পেশা যেখানে একজন সত্যিকারের অর্থে আলোকচিত্রী হতে শিক্ষার বিকল্প নেই। একজন আলোকচিত্রী হওয়ার পেছনে অবশ্যই একজনকে শিক্ষাটা গ্রহণ করতে হবে। আলোকচিত্রী হতে এর প্রকৃত শিক্ষাটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো শিক্ষা দানের কাজ করে থাকেন একজন শিক্ষক। শিক্ষক ছাড়া কোন কাজেই পরিপূর্ণতা লাভ করা সম্ভব না। বর্তমানে আমাদের দেশেই আলোকচিত্রীর উপর অনেক প্রশিক্ষণ রয়েছে। কয়েক মাসব্যাপী পরিচালিত এসব প্রশিক্ষণের সাথে যুক্ত হওয়া যেতে পারে। আবার এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তো আর দেশের সব অঞ্চলে নেই। এক্ষেত্রে তারা কি করবেন? এর উত্তরটিও জটিল নয়। বর্তমান যুগ ইন্টারনেট নির্ভর যুগ। অসম্ভবের শব্দটাও যেনো বিলুপ্ত প্রায়। ঘরে বসেও কিন্তু ইন্টারনেটের সাহায্যে আলোকচিত্রী প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া যেতে পারে। বর্তমানে দেশ-বিদেশের বেশ কয়েকটি অনলাইনভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে ঘরে বসেই অংশ নেয়া যাবে। আলোকচিত্রে নিজেকে মেলে ধরতে অবশ্যই প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। এছাড়াও প্রশিক্ষণের সাথে যুক্ত হয়ে পড়ালেখার পাশাপাশি দক্ষ আলোকচিত্রীদের সাথে থেকে নিজের মধ্যে দ্রুতই শিক্ষাটা আয়ত্তে আনা সম্ভব সবকিছুর পাশাপাশি অবশ্যই আলোকচিত্রীতে ভালো সময় দিতে হবে। পরিশ্রম এবং চেষ্টা ছাড়াও এই পেশা রপ্ত করা সম্ভব নয়।

আপনিই আপনার বিচারক:

পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষই প্রতিভার সাথে জন্মগ্রহণ করেন। তবে কিছু মানুষের জন্মটা বিশেষ মেধা দিয়েই আবার অন্যদিকে কিছু মানুষ তাদের সরল বুদ্ধি নিয়েই। তাই বলে কি এই সরল মানুষেরা গুণীতে পরিণত হথে পারবেন না? অবশ্যই সম্ভব। কঠোর পরিশ্রমী, আগ্রহ এবং সঠিক নির্দেশনা, এই প্রতিটি গুণ তার মনে থাকলে তাকে কেউই দমিয়ে রাখতে পারবে না। একজন ভালো আলোকচিত্রীকর হওয়ার জন্যও নির্দেশনার বিকল্প নেই। আলোকচিত্রীর জগতে প্রবেশের গুরুত্বপূর্ণ শর্তের মধ্যে অন্যতম অভিজ্ঞতদের কাজ দেখা। একবার ভেবে দেখুন ভালো ছবি কোনগুলো, কেনই বা সেগুলো ভালো? কি কি বিষয় থাকলে একটি ছবিকে আমার ভালো বলছি? এই বিষয়সমূহ বুঝতে পারলেই আপনার শিক্ষাটা অর্ধেক হয়ে গেলো। নিজের কাজ যদি নিজেই বিচার করতে না পারেন তাহলে কাজ গুলো কিভাবে অন্যের কাছে উপস্থাপন করবেন কিভাবে? যারা ছবির জগতে প্রবেশে আগ্রহী হচ্ছেন অবশ্যই অভিজ্ঞদের অনুসরণ করুন, তাদের কাজটা মন দিয়ে দেখুন। তাদের ছবির ধরণটা দেখুন। প্রয়োজনে প্রথম পর্যায়ে অভিজ্ঞদের কাজের ধরণটা অনুসরণ করুন। তাদের মতো করেই চেষ্টা করুন। একটি সময় দেখবেন আপনি নিজেই বিষয়টা বুঝতে পারছেন কিংবা আপনি নিজেই ছবি তোলার ধরণটা আয়ত্ত করতে পেরেছেন। অতঃপর নিজের মতো করেই ছবি তোলার চেষ্টা করুন। হয়তো দেখা যাবে একদিন আপনার ছবি থেকেই শিক্ষা গ্রহণ করে অন্য কেউ আলোকচিত্রী হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করছে।

মানতে হবে কিছু ফটোগ্রাফির নিয়ম

মানতে হবে কিছু নিয়ম:

ছবির জগতের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ, কারেক্ট কম্পোজিশন। অর্থাৎ সহজ ভাষায় ফটোগ্রাফির প্রতিটা নিয়মের সমন্বিত সামঞ্জস্য বিধান করা। কেননা কোনো একটি নিয়মের ভুল প্রয়োগের মাধ্যমে আপনি অজান্তেই ছবিকে অগ্রহণযোগ্য করে ফেলতে পারেন। তাই অবশ্যই নিয়মের বাইরে কিছু করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রথমত যারা নতুন আলোকচিত্রতে এসেছে বা আলোকচিত্রী জগতে আসতে আগ্রহী তাদেরকে অবশ্যই ছবির প্রতিটি নিয়মসমূহ মেনে আলোকচিত্র শিক্ষাটা অর্জন করতে হবে। প্রতিটি ছবি তোলার ক্ষেত্রের নিয়মের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিয়মের বাইরে গিয়েও নতুন কিছু তৈরি করা যায় যা শুরুর সময়টার দিকে অবশ্য একটু কঠিন। তবে বহুদিন অধ্যবসায়ের সাথে অনুশীলন করে নিজে নিজেই অনেক কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব। এছাড়াও তৈরি করা যেতে পারে নিজের আলাদা এক অনন্য ধরণ। ফটোগ্রাফির কম্পোজিশনগুলো বলতে গেলে প্রধান যে নিয়মগুলো আছে তা হলো- ফ্রেমিং, লাইট, ব্যাকগ্রাউন্ড, রুল অব থার্ড, লিডিং লাইন, ক্রপিং, নেগেটিভ স্পেস। ছবি তোলা ও পাঠের সময় এই বিষয়গুলো মাথায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। অবশ্যই প্রতিটি নিয়মের সাথে সামঞ্জস্যতা বজায় রেখেই ছবি তুলতে হবে। এই নিয়মগুলোর সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমেই আপনি একটি আর্দশ ছবি ধারণ করতে সফল হবেন।

রঙের ব্যবহারে অন্য মাত্রা:

একটি ভালো ছবির অন্যতম প্রয়োজনীয় একটি অংশের কথা বলতেই যে বিষয়সমূহ আগে আসে তার মধ্যে অন্যতম রঙের ব্যবহার। এটি আবার মানুষের মনের ভাব বা আবেগের সাথেও সম্পর্কিত বলা যায়। একেক রঙ একেক ধরনের আবেগের বহিঃপ্রকাশ। যেমন- সাদা রঙ পবিত্রতা, সরলতা ও শান্তির ভাব প্রকাশ করে; লাল রঙ একই সাথে ভালোবাসা কিংবা বিপদজনকতার ভাব প্রকাশ করে; আবার নীল রঙ মনকে প্রশান্তি দেয়। এভাবে প্রতিটি রঙ ভিন্ন ভিন্ন ভাব প্রকাশ করে। তাই ছবির বিষয়বস্তু বিবেচনায় এনে উপযুক্ত রঙের ব্যবহার করতে পারলে ছবিটি নতুন মাত্রায় পরিণত হয়। অতীতে ভিন্ন ভিন্ন রঙের বর্নচ্ছটার সমাহার ঘটিয়ে প্রাচীন ইউরোপ ও এশিয়ার সংস্কৃতিতে রোগীর চিকিৎসা করানো হতো যা Chomotherapy নামে পরিচিত ছিল। সেই বিবেচনায় প্রতিটি আলোকচিত্রীর Color Theory এবং Color Psychology সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা থাকা প্রয়োজন। তাহলেই আলোকচিত্রী তার ছবিতে রঙের উপযুক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে ছবির বক্তব্যকে আরও জোরালোভাবে প্রকাশ করতে সফল হবে। প্রতিটি ছবি তোলার সময়ই তার বিষয়টির সাথে মিলিয়েই সঠিক রঙের ব্যবহার অত্যন্ত প্রয়োজন। অনেক সময়, বিশেষ করে আলোকচিত্র সাংবাদিকতায় ছবিতে চাইলেই পছন্দ মত রঙের ব্যাবহার করা সম্ভব হয় না। কেননা আলোকচিত্রের অন্যান্য শাখায় নির্দেশনা দিয়ে ছবি তোলার সুবিধা থাকলেও আলোকচিত্র সাংবাদিকতায় তার সুযোগ নেই বললেই চলে এবং তা নৈতিকতা বিরোধী। সে ক্ষেত্রে আলোকচিত্রী তার ছবিকে সাদা কালো ছবিতে রূপান্তর করে বিভ্রান্তিকর রং এড়াতে পারেন। ফলে দর্শক সেই সাদাকালো ছবির দিকে তাকালেই সরাসরি ছবির বিষয়বস্তুতে মনোনিবেশ করতে পারেন।

ফটোগ্রাফি সাবজেক্ট

ফ্রেমিং যেনো ফুটে ওঠে সাবজেক্টেই:

ফ্রেমিং বা কম্পোজিশন একটি ছবি পরিপূর্ণতা লাভের অন্যতম একটি অংশ। প্রতিটি ছবি তোলার আগেই ছবিটি তোলার পর কেমন আসবে, সেটি ভাবুন। আমরা একটি জিনিস যে দৃষ্টিকোণ এবং উচ্চতা থেকে সচরাচর দেখে থাকি, সেই একই দৃষ্টিকোণ এবং উচ্চতা থেকে ছবি তোলা হলে ছবিটি একটু বোরিং হয়। কিন্তু ছবিটা যদি বসে তোলেন বা আইল্যাভেলে উপর থেকে তোলেন সেক্ষেত্রে তাতে বৈচিত্র আসে। যার কারনে বর্তমানে এরিয়াল বা ড্রোন ফটোগ্রাফি জনপ্রিয়তার শীর্ষে। কেননা পাখির চোখে দেখায় আমরা অভ্যস্ত নই। দ্বিতীয়ত, ‘রুল অব থার্ড’ মেনে চলা। এটি সেট করতে ক্যামেরার সেটিংসে গিয়ে গ্রিডটুলস অন করতে হবে। অপশনটি চালু করলে আপনার ছবির লাইনআপ খুব সহজেই করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে ছবির মেইন ফোকাল পয়েন্টটি লাইনের সমান্তরাল করে রাখতে হবে। আগে নিয়ম জানুন তারপর না হয় নিয়ম ভাঙুন। তৃতীয়ত, ব্যাকগ্রাউন্ড ঠিক করা। ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডে অনেক বেশি কনটেন্ট থাকলে এটি আপনার ছবির মূল ফোকাল পয়েন্টকে বিঘ্নিত করবে। বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফিতে ব্যাকগ্রাউন্ডে যত কম ডিস্টার্ব রাখা যায়। তাই ছবি তোলার ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যাকগ্রাউন্ড সবসময়ই ভাল। পজিশন পরিবর্তন করেও খুব সহজে সাধারণ একটি ছবিকে অসাধারণ করা যায়। চতুর্থত, ছবি তোলার ক্ষেত্রে ফ্রেমে লাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি সবসময়ই দর্শকদের নজর কাড়ে। শুধু তাই নয় ছবির ফ্রেমে লাইন, প্যাটার্ন, টেক্সচারের ব্যবহারে ছবি আকর্ষণীয়তে পরিবর্তিত হয়। অনেকসময় এতো এতো নিয়ম ছবি তোলার সময় মনেই আসেনা। সেটির সমাধান ছবি ক্রোপ করা। যেহেতু আজকালকার ক্যামেরা গুলো ২০/৪০ মেগাপিক্সেলের হয় সেক্ষেত্রে ক্রোপ করলেও ইমেজ কোয়ালিটি খুব একটা কমে যায় না। অতএব ফ্রেমিং এর প্রয়োজনে অবশ্যই ক্রোপ করুন। নিয়মগুলো যে আপনাকে পালন করতে হবে এমন কোনো শর্ত নেই। আপনার ছবির প্রয়োজনে ইচ্ছামতোই আপনার ফ্রেম গঠন করতে পারেন। এই নিয়মগুলো কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। তবে মূল লক্ষ্য হল এমন ভাবে ফ্রেমিং করা যাতে আপনার সাবজেক্টের মধ্যে ফুটে ওঠে।
ফটোগ্রাফি আলো ছায়া

আলোছায়ার খেলা:

আলোকচিত্রর জগতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয় ”আলো”। হৃদপিন্ডহীন একজন মানুষ যেমন প্রাণহীন তেমনি একটি ছবি সঠিক আলোর ব্যবহারের অভাবে প্রাণহীন ছবিতে বনে যায়। আলো দিয়ে ছবি তৈরি করার নামই হল আলোকচিত্ৰবিদ্যা। অর্থাৎ ছবিতে থাকতে হবে আলোছায়ার খেলা । আর এই জন্যই ছবি তোলার ক্ষেত্রে আলো ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা ছবিকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্যও সঠিক আলো অত্যন্ত জরুরি। সঠিক মাত্রার আলোতে ছবির বিষয়বস্তু অর্থবহ এবং আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা যায়। সূর্য যখন দুপুরবেলা মাথার উপর থাকে তখন ঘরের বাইরে তোলা ছবিগুলোতে অধিক মাত্রায় আলো থাকে তাই এই সময়টায় ছবি না তোলাই ভালো। তবে ফটোসাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভিন্ন কারণ আমরা জানি একজন ফটোসাংবাদিক ছবি তোলার সময় ছবির শিল্পের চেয়ে তথ্যকে গুরুত্ব বেশি প্রদান করেন। বিকেল বেলা সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ে তখন কিছুটা অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গায় তোলা ছবিগুলোতে বিষয়বস্তু সঠিকভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়। তবে এ সময় ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড দিকে খেয়াল রাখতে হবে। একজন ভালো আলোকচিত্রী হতে কৃত্রিম আলোর পরিবর্তে প্রাকৃতিক আলোতে ছবি তোলার চেষ্টা করতে হবে। ছবি তোলার আগেই ভেবে নিতে হবে আলোর উৎস কিংবা পরিমাণ সম্পর্কে। ভোরের ও বিকালের সূর্যের আলোতে সাধারণত ছবি ভালো হয় এবং আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে ছবি তোলার সময় আলোর উৎসের অপর দিকে সাবজেক্টে রাখলে ছবিতে ভালো আলো পাওয়া যাবে। সূর্যোদয়ের পরে এক ঘন্টা ও সূর্যাস্তের আগে এক ঘন্টাকে ছবি তোলার জন্য ভালো সময় হিসেবে নেওয়া যায়। একটি ছবি তোলার আগে ছবির দৃশ্যে প্রথমেই আলোর উৎস, পরিমাণ এবং প্রতিফলন নিয়ে ভাবতে হবে এবং এটি প্রথমে নিজের চোখ ও হৃদয় দিয়ে অবলোকন করতে হবে এবং অতপর ক্যামেরার চোখে। কারণ দিন শেষে মানুষ শুধু আপনার ছবিটিকেই দেখবে।