মেজর জলিলঃ সমাজতন্ত্রের পথ ছেড়ে ইসলামী আন্দোলনের পথে আসা এক চির সংগ্রামী

0
মেজর জলিল

স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয় অর্জনের মাত্র ২ সপ্তাহ পর ৯নং সেক্টরের কমান্ডার মেজর জলিলকে যশোর থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে আগের পর্বে বিস্তারিত লেখা হয়েছিল। আজ লিখবো গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত।  আগের পর্ব যারা পড়েননি তারা নিচের লিংকে গিয়ে পড়ে নিতে পারেন।

লিংকঃমেজর জলিলঃ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দী ও একমাত্র রাষ্ট্রীয় ‘খেতাবহীন’ সেক্টর কমান্ডার

গ্রেফতারের পর মেজর জলিল কে ঢাকা নিয়ে আসা হয়, কিন্তু তখনো তাঁকে গ্রেফতার করার বিষয়ে কোন ঘোষণা দেয় নি সরকার। তাঁকে কোথায় রাখা হয়েছে, কি করা হয়েছে কিছুই জানানো হয় নি।

সন্তানের কোন খবর না পেয়ে মেজর জলিলের মা রাবেয়া খাতুন ২ সপ্তাহ পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বরাবর একটা স্মারকলিপি প্রেরণ করেন। কিন্তু এর কোন জবাব না পেয়ে ১ মাস পর ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী সমীপে এক দুঃখিনী মায়ের ফরিয়াদ’ – শিরোনামে একটি খোলাচিঠি বরিশাল, খুলনা ও ঢাকায় বিলি করেন। তাতে তিনি তার সন্তানের খোঁজ জানতে চেয়ে ও সন্তানকে ফেরত পাওয়ার ফরিয়াদ জানিয়ে লিখেছিলেন- “জলিলের মা হওয়ার অপরাধে হানাদার বাহিনীর অকথ্য জিজ্ঞাসাবাদ এমন কি আমার ও আমার একমাত্র ভাইয়ের উপর শারীরিক নির্যাতন তথা পাক সেনাদের ভারি বুটের কাল দাগ আমাদের ততটা দুঃখ ও বেদনা দিতে পারেনি, যতটা দুঃখ আর প্রবঞ্চনা পাচ্ছি দিনের পর দিন বৈধব্য জীবনে আমার আদরের দুলালকে হারিয়ে।“

মজলুম নেতা মওলানা ভাসানীর সাপ্তাহিক হককথা পত্রিকায় ‘মেজর জলিল সমাচার শ্বেতপত্র চাই’  শীর্ষক এক প্রতিবেদন লিখা হয়। সেখানে বলা হয়- ‘বাংলাদেশ সরকার মেজর এম.এ. জলিলের অন্তরীণ সম্পর্কিত নানা প্রশ্নকে চেপে যাচ্ছেন। কিন্তু কি করে সম্ভব একজন দুর্বার স্বাধীনতা সংগ্রামীর ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলাকে ঢেকে রাখা? “

এভাবে কোন খোঁজ না পেয়ে জনমনে মেজর জলিল বিষয়ে সরকারের উপর নেতিবাচক ধারনা জন্ম নিতে থাকে। মেজর জলিলের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকতে। বরিশাল ও খুলনায় মেজর জলিলের সমর্থনে বিক্ষোভ হয়। বরিশালে তার গ্রেফতারের প্রতিবাদে ধর্মঘটও পালিত হয়। ঢাকায় বিভিন্ন দেয়ালে মেজর জলিলের গ্রেফতার নিয়ে দেয়াল লিখন হয়।

জনগণের ক্ষোভের কারনে অবশেষে সরকার মেজর জলিলকে গ্রেফতারের কথা প্রকাশ করে। হাইকমান্ডের নির্দেশ অমান্য ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারনে সেনাবাহিনীর ট্রাইবুনালে তার বিচারের ঘোষণা দেয়। ঘোষণা মত ট্রাইবুনাল গঠন করা হয়। ট্রাইবুনালের প্রধান করা হয় আরেক সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল তাহের বীর উত্তম কে।সেনাবাহিনীতে জনপ্রিয়তা ও  কর্ণেল তাহেরের জোরালো ভূমিকার কারনে বিচারে জলিলকে চাকরিচ্যুতির চেয়ে বেশী শাস্তি দেয়া যায়নি। ১৯৭২ সনের ৪ জুলাই তিনি মুক্তি লাভ করেন।

পরবর্তীতে কর্ণেল তাহের ও মেজর জলিল হয়ে ওঠেন বন্ধু, রাজনৈতিক সহকর্মী, সমাজতন্ত্রের মাধ্যমে সুন্দর দেশ গড়ার স্বপ্নের পথের সহযাত্রী।

মুক্তিলাভের পরপরই মেজর জলিল দেশের তরুণ মুক্তিযোদ্ধা যারা সমাজতন্ত্রের আদর্শে দেশ গড়ার সপ্ন দেখছিল তাদের নিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠনে সিরাজুল আলম খান, আ.স.ম আব্দুর রব, শাহজাহান সিরাজদের সাথে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন এবং দলের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব লাভ করেন। দলের প্রথম কাউন্সিল অধিবেশন তাঁকে দলের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ‘বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র’ মতবাদে আকৃষ্ট হয়ে জাসদে যোগ দেয় মুক্তিযুদ্ধ ফেরত অসংখ্য  তরুণ।

তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ও ভারতের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লুটতরাজ এর অভিযোগ এনে এর বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নিয়ে ভারত বিরোধী বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে মেজর জলিল ও জাসদ জনগনের মাঝে বিশেষ করে তরুনদের মাঝে অল্প সময়ের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

১৯৭৩ সালের নির্বাচনে তিনি ৭টি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু কোনটিতে জয়লাভ করতে পারেন নি। তিনি ও তার দল অভিযোগ করেন নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম করে তাকে পরাজিত করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাসদ এর তরুণ নেতাকর্মীদের সাথে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী, রক্ষীবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরোধ, সংঘর্ষে জাসদ ও আওয়ামীলীগের অসংখ্য নেতাকর্মী হতাহত হয়। সারাদেশে খুন, লুট, ধর্ষণ এবং দলীয় কর্মীদের ওপর নির্যাতন ও জেল জুলুমের প্রতিবাদে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর সরকারী বাসভবন ঘেরাও করতে গেলে ১৯৭৪ সালের ১৭ মার্চ মেজর জলিল আবারো গ্রেফতার হন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নিহত হওয়ার পর ১৯৭৫ সালের ৮ নভেম্বর তিনি কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করেন।

জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর সরকার উত্খাতের ষড়যন্ত্র এবং অবৈধ পন্থায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল প্রচেষ্টার অভিযোগে কর্ণেল তাহের, মেজর জলিল, আ.স.ম আব্দুর রব, হাসানুল হক ইনু সহ জাসদ, গণবাহিনী ও বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার শীর্ষস্থানীয় ৩৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। বিশেষ ট্রাইবুনালে বিচার শুরু হয়।

বিচারে কর্ণেল তাহের ও মেজর জলিলের ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। কয়েকজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য মেজর জলিলের ফাঁসির আদেশ বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। শুধু কর্ণেল তাহেরের ফাঁসির আদেশ বহাল থাকে ও ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলেও ১৯৮০ সাল মেজর জলিলকে মুক্তি দেয়া হয়। ১৯৮১ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদন্দ্বিতা করেন। তবে নির্বাচনে মাত্র ১% ভোট পেয়ে পরাজিত হন।

নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ও জাসদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে জেল জুলুম ও দীর্ঘ দিনের সংগ্রামের ব্যর্থতায় এবং সারাবিশ্বে সমাজতন্ত্রের ব্যর্থতায় সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সফলতা নিয়ে তিনি সন্দিহান হয়ে পড়েন। জাসদ নিয়ে তার হতাশা চলে আসে। জেলে থাকতেই ইসলামী আন্দোলন ও ইসলামী বই পড়ে তিনি ইসলামের আদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হন। ফলে তিনি সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন ছেড়ে ইসলামী আন্দোলনে আসার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৮৪ সালে তিনি জাসদের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করে জাতীয় মুক্তি আন্দোলন নামে ইসলামী দল গঠন করেন।

তিনি জাসদের ব্যর্থতার পিছনে নাস্তিকবাদী দর্শনকে দায়ী করে বলেন- “এই দলটির দার্শনিক ভিত্তি ছিল ‘মার্কসবাদ-লেনিনবাদ’ এবং রাজনৈতিক দর্শনের নাম ছিল ‘বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র’। বস্তুবাদী এই দর্শনটি শোষিত মেহনতি মানুষের মুক্তির সনদ বলে পরিচিত হলেও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র নাস্তিকবাদ ভিত্তিক হওয়াতে এ দেশের তরুণ যুবক যাদের পারিবারিক এবং সামাজিক জীবন ধর্মভিত্তিক গঠিত, তাদের মনে ঐ দর্শন জন্ম দেয় এক অমীমাংসিত দ্বন্দ্বের। দলীয় আচার-আচরণে তারা নাস্তিকবাদের চর্চা করলেও ব্যক্তি, পারিবারিক এবং সামাজিক জীবনে তারা কখনো ধর্মের প্রভাবমুক্ত হতে পারেনি। ব্যক্তি জীবনে এই দৈতসত্তা ধারী পার্টি নেতাকর্মী না হতে পেরেছে সম্পূর্ণভাব বস্তুবাদী, না হতে পেরেছে আস্তিকবাদের অনুসারী।“

তিনি উপলব্ধি করতে শুরু করেন মানব রচিত কোন বিধানে এ দেশের মানুষের তথা বিশ্বমানবতার মুক্তি সম্ভব নয়। তিনি এ বিষয়ে তার বিভিন্ন লেখায় উল্লেখ করেন-

‘এই অধঃপতিত করুণ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে মানুষকে আল্লাহর পবিত্র বিধান কুরআন-হাদীস নির্দেশিত বিধিমালা অনুসারে জীবনের পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং পুনর্বিন্যাস ঘটাতে হবে। এই পদ্ধতি অনুসরণের মধ্য দিয়েই কেবল মানুষ তার মরণশীল জীবনের উদ্দেশ্য, অর্থ এবং গুরুত্ব অনুধাবনে পরিপূর্ণভাবে সক্ষম হবে। ধ্বংসের পথ বন্ধ করে দেয়ার উপায় একটিই কেবল এবং তা হচ্ছে-আল্লাহ প্রেরিত বিধান আল-কুরআন নির্দেশিত জীবনধারা অনুযায়ী মানব জীবনের পুনর্বিন্যাস ঘটানো। সেই পুনর্বিন্যাসই মানুষকে বর্তমান অধঃপতিত স্তর থেকে শ্রেষ্ঠতর স্তরে পৌঁছে দেবে। মানুষকে শোষণ-জুলুমের হাত থেকে মুক্ত করে তার সঠিক বিকাশের স্বার্থে দার্শনিক ভিত্তি হিসেবে ইসলামই হচ্ছে সব দিক থেকে পরিপূর্ণ। যে স্রষ্টা সৃষ্টি করেছেন তার নির্দেশ উপেক্ষা করে জনগণের কল্যাণ অসম্ভব। মানব জীবনের জন্য এখন প্রয়োজন হয়ে পড়েছে ভারসাম্যপূর্ণ, দর্শনভিত্তিক জীবন এবং সমাজ ব্যবস্থার এবং এই ভারসাম্যপূর্ণ দর্শন পবিত্র ইসলামের মধ্যেই খুঁজে পাওয়া যায়।’

এসব থেকে বুঝা যায় একসময়ে সমাজতান্ত্রিক আদর্শের জন্য লড়াই করা মেজর জলিল ইসলামী আদর্শের প্রতি বেশ ভালোভাবেই আকৃষ্ট হয়েছিলেন। এভাবে আদর্শ পরিবর্তনের কারনে অনেকেই মেজর জলিলকে দ্বিধাগ্রস্ত, উচ্চাকাঙ্খী বলেন। তবে সব অভিযোগ জোরালো ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। তিনি বারবার বলেছেন তিনি বুঝতে পেরেছেন এ দেশে সমাজতান্ত্রিক আদর্শে মানুষের মুক্তি সম্ভব নয়। অনুধাবন করতে পেরেছেন একমাত্র কুরানের বিধানই পারে মুক্তি দিতে। তাই তিনি ইসলামের পথে এসেছেন।

পরিশেষে একটি পত্রিকায় দেয়া সাক্ষাৎকারে ব্যক্ত করা মেজর জলিলের কিছু আফসোসের কথা উল্লেখ করে এ লেখার সমাপ্তি টানবো-

‘মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন দেশেই আমাকে বঞ্চনা-নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়েছে।আমাকে এখন ভাবতে হয় কালকে কিভাবে খাওয়ার ব্যবস্থা করবো। সংসার কিভাবে চলবে?যুদ্ধ করেছি দেশের জন্য। স্বাধীনতালাভের সূচনালগ্নেই দেখতে পেলাম ভিন্ন চিত্র। লুটপাট করছে ভারতীয় সৈন্যরা। গাড়ী ভর্তি আমার দেশের মূল্যবান সম্পত্তি সীমান্ত দিয়ে পাচার করছে। এর প্রতিবাদ করে স্বাধীন দেশেই হলাম বন্দী।ব্যক্তিগতভাবে আমি একজন প্রচন্ড স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষ। আমি গণমানুষের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। শোষণ, জুলুম, অত্যাচার, অনাচার প্রতিরোধে সর্বদাই সচেষ্ট। স্বাধীন বাংলাদেশের কারাগারেই কেটেছে এ অধম মুক্তিযোদ্ধার ৭টি মূল্যবান বছর। তবে এ ব্যাপারে কোন আফসোস নেই। ব্যক্তিগত পদমর্যাদা অর্থ-সম্পদ সঞ্চয় এবং ভোগ-বিলাস আমার রাজনৈতিক লক্ষ্য নয় বলেই বর্তমানে ভোগ বিলাসপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করছি। তবে আমি আমার রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের পথে নিরলসভাবেই সাধ্যমত এগিয়ে চলেছি। সেক্টর কমান্ডার হিসেবে আমার যে সুনাম হয়েছিল তাতে আমি ইচ্ছা করলেই সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হয়ে আরাম আয়েশে জীবন কাটিয়ে দিতে পারতাম। কিন্তু সেসব ছুড়ে ফেলে দাঁড়ালাম মেহনতি মানুষের কাতারে। লোভ মোহ আমাকে আদর্শচ্যুত করতে পারে না বলেই আমার পথ দূর্গম।  ’

লেখক হিসেবে মেজর জলিল বেশ সুনাম অর্জন করেন। তার বেশ কিছু বই ব্যাপক আলোচিত হয়। সীমাহীন সমর, দৃষ্টিভঙ্গি ও জীবনদর্শন, সূর্যোদয়, অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা তাঁর বিখ্যাত বই।

১৯৮২ সালে টাঙ্গাইলের রমনী সায়মা খানের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন মেজর জলিল। এই দম্পতির দুই মেয়ে সারাহ জলিল ও ফারাহ জলিল। দুই কন্যাই আইন পেশায় নিয়োজিত। মেজর জলিলের স্ত্রী সায়মা জলিল রাজনীতির সাথে জড়িত।

১৯৮৯ সালের ৫ নভেম্বর একটি ইসলামিক কনফারেন্সে যোগ দিতে মেজর জলিল পাকিস্তান যান৷ পাকিস্তানে অবস্থানকালেই ইসলামাবাদে ১৯ নভেম্বর হঠাত্‍ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরন করেন৷২২ নভেম্বর তাঁর মৃতদেহ ঢাকায় আনা হয় এবং সামরিক মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন করা হয়৷ বারবার জেল জুলুম ভোগ করা, খেতাব বঞ্চিত থাকা এই বীর সেক্টর কমান্ডার মিরপুরের বুদ্ধিজীবী/মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন৷

লেখকঃ আসিফ আল রাজীব