ডোকলাম ইস্যুতে বড় বড় কথা বললেও এ নিয়ে যুদ্ধে জড়ানোর কোন ইচ্ছেই নেই চীনের। ভারতের নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এমনটাই মনে করছেন। আজ সোমবার টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
ভুটানের কাছে অবস্থিত বিরোধপূর্ণ ডোকলাম মালভূমি নিয়ে চীন ও ভারতের মধ্যে এক মাসের বেশি সময় ধরে উত্তেজনা চলছে। এ নিয়ে দুই দেশ পরস্পরকে দোষারোপ করছে। হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। সীমান্তে সেনা সমাবেশেরও ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশ ই সীমান্ত নিয়ে যুদ্ধ বাধানোর হুমকি দিয়ে আসছে প্রতিপক্ষকে।
ডোকলাম উপত্যকাটিকে নিজের বলে দাবি করে চীন ও ভুটান। ভুটানের দাবির পক্ষে ভারত সমর্থন জানানোয় নয়াদিল্লির সঙ্গে বেইজিংয়ের উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশ চীন ও ভারতের সেনারা সেখানে মুখোমুখি অবস্থান করছে।
ভারতের নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ‘যৌক্তিকভাবে’ মনে করছেন, নয়াদিল্লির সঙ্গে বেইজিং কথার লড়াই চালাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তারা (চীন) যুদ্ধে জড়ানোর মতো ঝুঁকি নেবে না। এমনকি ছোটখাটো সামরিক অভিযানও চালাবে না চীন কারণ তাতে চীন এর ক্ষতির সভবনা ই বেশি।
ভারতের নিরাপত্তা সূত্রগুলো বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে উভয় দেশের মুখ রক্ষার একটা ভালো উপায় হতে পারে, দোকলাম থেকে যুগপৎভাবে নিজ নিজ দেশের সেনা প্রত্যাহার।
ভারত মনে করছে, চলমান সংকটে যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়। দ্বিপক্ষীয় আলোচনা, সহনশীলতা, ভাষার নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতির মাধ্যমে সংকট সমাধানে অগ্রগতি সম্ভব।
চীন বলছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী চীনা ভূখণ্ডে অবস্থান করছে। এ ক্ষেত্রে চীন অনেক সংযম দেখিয়ে ভারতকে সেনা সরিয়ে নিতে বলছে। তবে ভারত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
ভারত বলছে, ভারতকে যদি সেনা সরাতেই হয়, তাহলে চীনকেও একই সঙ্গে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। দুই দেশ একই সঙ্গে সেনা সরিয়ে আলোচনায় বসতে পারে। এখন আলোচনা কখন বসে এতাই দেখার বিষয়।
